বাগাতিপাড়ায় হাট বন্ধ নিয়ে ইউএনও- ওসির পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত

0
491
Bagatipara

বাগাতিপাড়া,নাটোরকন্ঠ: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হাট বন্ধ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি)। বুধবার উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের সোনাপুর হাট বন্ধ নিয়ে উপজেলার এই দুই কর্মকর্তার মধ্যে পাল্টা সিদ্ধান্তের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহে দু’দিন বুধবার এবং রোববার সোনাপুরের সাপ্তাহিক হাট বসে। কাঁচা সবজি, মাছ মাংশসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী হাটে বিক্রি হয়। কিন্তু করোনা সংকট মোকাবেলার কারনে সম্প্রতি গ্রামীন বাজারটি পার্শ্ববর্তী হিজলি-সোনাপুর স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সকাল থেকেই ওই হাটে লোক সমাগম শুরু হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০ টায় হাটে লোক সমাগমের খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন পুলিশ পাঠিয়ে হাট বন্ধ করে দেন। এর ঘন্টা খানেক পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আবারও হাট চালু করেন। দয়ারামপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা থানার এস আই আকরাম হোসেন বলেন, এসপি ও ওসি স্যারের নির্দেশে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে তারা সোনাপুরের সাপ্তাহিক কাঁচা হাট বাজার বন্ধ করে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা স্যার এসে পুনরায় সেই হাট বাজার বসিয়ে দেন। এবিষয়ে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, এতদিন নাটোর বা তার আশে পাশের এলাকায় কোনো করোনা সংক্রমণ রোগী ছিলনা। তাই এই সকল এলাকায় লকড ডাউন কিছুটা শিথিল রাখা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে নাটোর জেলার সদর উপজেলাসহ আরো দুইটি উপজেলায় মোট আটজন করোনা রোগী সনাক্তের খবর পাওয়া যায়। এ কারণে নাটোরেরর পুলিশ সুপার স্যার সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং জনসমাগম থেকে বিরত থাকতে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন। সেই কারণে বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাটসহ অস্থায়ী কিছু দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে মোতাবেক সোনাপুর হাটও বন্ধ করা হয়। তবে স্থায়ী কাঁচা মালের দোকান গুলোকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া আছে। তিনি আরও বলেন, থানা পুলিশ করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, গণ জামায়েত বন্ধ এবং জনসাধারণকে ঘরমুখো করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুনরায় সোনাপুরের সাপ্তাহিক কাঁচা হাট বাজার বসানো খুবই দুঃখজনক। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দেবী পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাট বাজার চালু বা বন্ধ করার কোনো বিষয় না। ডিসি স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রামীন হাট-বাজার সরিয়ে উন্মুক্ত স্থানে বসানো হয়েছে । ওসি সাহেব কার নির্দেশনা পেয়ে বাজার বন্ধ করেছেন সেটা তিনি জানেন না। তাছাড়া কাঁচা হাট বাজার না থাকলে মানুষ খাবে কি? খোলা মাঠের হাট বাজার গুলো সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মের মধ্যেই চলছে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের সিংড়া উপজেলা লকডাউন ঘোষনা
পরবর্তী নিবন্ধগুরুদাসপুরে মৎস্যজীবী পরিবারের মাঝে মেয়র কল্যাণ ট্রাস্টের উপহার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে