বিচার চাই একশোটি গাছ হত্যার
কবি গোলাম কবির
সোহরাওর্য়াদি উদ্যানের একশোটি গাছ
কেটে ফেলা হয়েছে! এখানে এখন নাকি
বড়ো রেষ্টুরেন্ট হবে শুনতে পেলাম!
আবার কেউ বলছে ” স্বাধীনতা স্তম্ভ “এর
তৃতীয় পর্বের কাজের জন্যই কেটে ফেলা হলো, আহ্!
তা সে যে কারণেই হোক –
সোহরাওর্য়াদি উদ্যানে অবস্থিত একশোটি গাছ
যারা কেটেছো, তারা তো শুধুই গাছ কাটোনি!
আমার দম বন্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টাটাই
করেছো তোমরা প্রাণান্ত! ওদিক দিয়ে যে একসময়
আমি কতো হেঁটে এসেছি আমার দুরন্ত যৌবনের
সেই দিন গুলোয় জগন্নাথ কলেজ থেকে
মোহাম্মদপুরের বাসা পর্যন্ত,
কখনো চুপচাপ উদ্যানের বেঞ্চে বসে থেকে
বাবাকে হারানোর দুঃখ ভুলতে চেয়ে
কতোদিন ঐ গাছ গুলোর সাথে একাএকা
কথা বলেছি, ওরা সমবেদনায় আমাকে
করেছিলো ধন্য, ভুলিনি এখনো তা!
কখনো আমার প্রেমিকা –
যে কীনা এখন আমার
স্ত্রী হয়ে কাটাচ্ছে আমারই সাথে সুখদুঃখের
সঙ্গী হয়ে পঁচিশ বছর পার করে দিয়ে!
হ্যাঁ, ওকে নিয়েও তো কতো কতো দিন কেটে গেছে সময়
এখানকার গাছ গুলোর ছায়ায় বসে থেকে,
কখনোবা শুধুই তার জন্য অপেক্ষা করে করে!
আমাদের সেই সময়কার স্মৃতিগুলো সব উপড়ে ফেললে?
এরচেয়ে ভালো হতো কিংবা খুশি হতাম,
আমাকেই যদি এর পরিবর্তে গুলি করে মেরে ফেলতে!
আমি এইসব গাছ হত্যার ও আমার স্মৃতিগুলো
উপড়ে ফেলার এবং ঢাকাবাসীর অক্সিজেনের
আধার ধ্বংসের বিচার চাই,
বিচার চাই সেইসব গণশত্রুদের বিরুদ্ধে