প্রিয় মেঘ,
আজ নাকি তোর জন্মদিন?
আমি ভাবছি মেঘেরও জন্মদিন হয়!!কি অদ্ভুত!!
আচ্ছা,কি উপহার পাঠাই বলতো মেঘ? আলতা পরা বন্দী নুপুরের শব্দরা জানে আমার চারদেয়ালের মানে। আমার হাঁসপাঁশ করা মূহুর্তের খবর কি করে পাঠাই তোর কাছে? তুই তো জানিস ক্লান্ত এই শহরে গুমোট অভিমান ছাড়া কি আছে আমার?
শোন, যদি পারিস নীল শহরের স্বপ্নগুলো সত্যি ভেবেই ছুঁয়ে দিস।একটা আকাশ বুকে ছেপে রঙগুলো সব আমায় দিস। নীলচে আলোয় ভাসুক না হয় তোর ঠোঁটের কোণ। মেঘ,কৃষ্ণচূড়া সিঁথিতে এঁকে আসছি আমি তোর শহরে। অপেক্ষায় থাকিস…সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে বসে রাত নামাবো আমরা সেদিন।
জানিস,তোর চিঠির রাজকীয় গীতলতার প্রেমে পড়েছি বহুবার।অদ্ভুত মায়া করে লিখিস তুই।চিঠি গুলো যখন ডাকপিয়ন কাকু দিয়ে যায় এক অদ্ভুত অনুভূতি হয় আমার।খাম খুলতে গিয়েও না খুলে রেখে দেই কয়েকদিন।ভালোই লাগে।তোর চিঠির মায়া ঘ্রাণ মেখে,পার করে দেই অজস্র রাত।
যখন রাতের কোলে নিরবতা নেমে আসে হঠাৎ করেই তোর ছেলেমানুষী মনে পড়ে।তখন খামখেয়ালি উত্তাপেই পুড়ে মরি আমি। ছলচাতুরী বাহানাতে বারংবার আমি তোর প্রেমে পড়ি।ভেসে ভেসে ছাই রঙা সেই মেঘের সাথেই ঘর করি। মেঘ,তুই হয়ত জানিস না,তুই ছুঁয়ে দিলেই আমার শহরে বসন্ত আসে।অসংখ্য ফুলের রঙ বন্যা হয়ে ভাসিয়ে নেয় আমায়।
গোলাপি-শাদার কি অদ্ভুত প্রণয়!ভাবতেই বুকের মাঝে অজানা প্রেমের উন্মাতাল ঝড়ের তোলপাড় টের পাচ্ছি আমি। মেঘ,তুই বড্ড পাগলাটে। আলো আঁধারির খেলায় আমার সাথে থাকতে থাকতে তুই কেমন পাগলাটে, খ্যাপা হয়ে যাচ্ছিস।
উপহারটা তোলা রইল। সোনালু ফুলে মাখানো ভোরে হেঁটে যাবো তোর সাথে। তোকে দিয়ে দেবো নির্জনতার অবুঝ ভাষা। কথা দিলাম। আর মাত্র ক’টা দিন। পাগলামো বন্ধ করে শান্ত হয়ে থাক। পৃথ্বীর অসুখ সেরে গেলেই আমাদের দেখা হবে। ভাল থাকিস মেঘ।
ইতি-
তোর জমানো গল্প