নাটোরকন্ঠ: স্বামীর ঘর ছাড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে,-এমন নাটক সাজিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন গৃহবধূ মুক্তি। নিজের লাশের ছবি বানিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাটোর জেলা পুলিশ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে প্রেমিক আবিদ সহ কথিত মৃত গৃহবধূ মুক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের অফিসে চত্বরে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর এলাকার বাসিন্দা ও মেডিকেল কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি আকমল হোসেনের স্ত্রী মুক্তির সাথে সামাজিক মাধ্যমে প্রেম হয় ময়মনসিংহের কেবল ব্যবসায়ী আবিদের। গত ১১ মে মুক্তি তার বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কোন্দইল যেতে চান। এজন্য আকমল হোসেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুরে লেগুনায় তুলে দেন। প্রেমিক আবিদ সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। সেখান থেকেই ওই গৃহবধূ নিজেকে হত্যা করা সহ তার সাজানো লাশের ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে।পাশাপাশি প্রেমিককে দিয়ে ওই ছবি ও হত্যার ম্যাসেজ স্বামীর পরিবারের কাছে পাঠায়। এই ঘটনায় ১১ মে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন আকমল হোসেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে নাটোর জেলা পুলিশ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে প্রেমিক আবিদ সহ কথিত মৃত গৃহবধূ মুক্তিকে উদ্ধার করে। দুপুরে উদ্ধারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
হত্যার নাটোক সাজিয়ে প্রেমীকের হাত ধরে উধাও, শেষ রক্ষা হলোনা গৃহবধূ মুক্তির
Advertisement