নাটোরে আরো ৫ জন করোনা আক্রান্ত, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই নাটোর জুড়ে
নাটোর কণ্ঠ: নাটোরের দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আজও নাটোরে ১৫০ টি নমুনার ফলাফল এসেছে। তার মধ্যে ৫ জনের পজিটিভ। এনে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৬ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৪০ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে একজন।
আজ যারা করোনা আক্রান্ত হলেন তাদের বাড়ি লকডাউন করাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান। আক্রান্তদের মধ্যে নাটোর সদরের পৌর এলাকার একজন, সিংড়ার একজন, গুরুদাসপুরে দুইজন ও লালপুরে একজন।
এদিকে নাটোরে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানার প্রতিযোগিতা। রাস্তা ঘাট, দোকান পাট ,গ্রামের বাজার, পাড়া, মহল্লার মানুষ যেন করোনা নিয়ে নির্বিকার। তারা চলছে তাদের মত করেই। সবাই যেন নিজেকে ছেড়ে দিয়েছেন ভাগ্যের হাতে। এমত অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা। তারা চাইলেও মানুষের ভীড় এড়িয়ে চলতে পারছেন না। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমনে সংখ্যা। নাটোরে প্রথম ২৮ এপ্রিল নাটোরে ৮জন করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মে ৩০জন করোনায় আক্রান্ত হন। ২০ মে আক্রান্ত হন ৫জন। আজ আবারো ৫ জন করোনা সনাক্ত হলেন। ফলে ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে সংখ্যাটি ৮৬ জনে এসে দাড়িঁয়েছেেএটা এখন সচেতন মানুষের ভাবনার বিষয়।
সরোজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,বাজারের কিছু কিছু দোকানের সামনে রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার জন্য পাত্র ও সাবান। কিন্তু তা ব্যবহার করছেন না কেউ। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। চায়ের স্টল, মুদীর দোকান , সর্বত্রই মানুষের ভীড় । নেই সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার কোন তাগিদ। ফলে সামজিক মাধ্যমেও করোনার মত ভয়াবহ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রতি পদে। পাড়ায় মহল্লার ভিতরে ভীড় করে চলছে আড্ডা। অপেক্ষাকৃত কম বয়সের তরুণরা দল বেধে চলা ফেরা করছে সর্বত্রই। এ যেন আইন না মানার একটি প্রতিযোগিতা। দোকানগুলোতে ভীড় বাড়লেও ওই ব্যবসায়ি সামাজিক দুরত্ব মানার কোন তাগিদ দিচ্ছেন না। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পুলিশের টিম জেলঅ জুড়ে নিয়মিত তদারকি করছে। জনসাধারণকে আমাদের পুলিশ সদস্যরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এমনকি নিজের জীবন বাজী রেখে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। জেলায় অনেক পুলিশ সদস্য কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। করোনার মত ভয়ঙ্কর ব্যাধিকে মোকাবেলঅ করতে জন সচেতনাতার কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি ।
এদিকে নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, জনগণকে সচেতন করতে প্রতিদিন উপজেলঅ থেকে শুরু করে জেলা শহরে সর্বত্র জনসচেতনতামুলক মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য চালানো হয়েছে ভ্রাম্যশান আদালতের অভিযান। তিনি বলেন, করোনার মত বয়াবহ ব্যাধিকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার কোন বিকল্প নেই।