নাটোর কণ্ঠ: প্রশাসনের শত আহ্বান’ শেষেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না খোদ ফার্মেসি মালিকগণ। বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে দেখা গেছে ঔষধের দোকান গুলোতে কর্মচারীরা গাদাগাদি হয়ে একসাথে ঔষধ বিক্রি করছেন। মুখে নেই মাস্ক। আজ সন্ধ্যায় মাদ্রাসার মোড় এলাকায় নুরুন্নেসা ঔষধালয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। একজন ওষুধ বিক্রেতা কর্মচারীকে মাস্ক এর কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন প্রচন্ড গরম তো মুখে রাখা যাচ্ছে না।
শুধু জেলা সদরে নয়, উপজেলার ঔষধের দোকান গুলো তো একই অবস্থা। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। ক্রেতা এবং দোকানে সবাই গাদাগাদি হয়ে ওষুধ কিনছেন। স্বাস্থ্যবিধির মানা বলতে সামনে দড়ি দিয়ে একটু দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন তাই যথেষ্ট মনে করছেন দোকানিরা। সচেতন ও সুধী সমাজ বলছেন ওষুধের দোকান গুলোতে সব ধরনের রোগীদের আনাগোনা রয়েছে।
করোনা পরীক্ষা করাতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন, তাছাড়া করোনা লক্ষণযুক্ত রোগীরা লুকিয়ে চিকিৎসা নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ প্রকাশ করছেন সাধারণরা। তাই কোনো রোগী যদি এসে ওষুধ ক্রয় করেন, এখানে সংক্রমিত হবার আশংকা থেকে যায়। তাই ঔষধের দোকান গুলোতেই বেশি মাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। সব দোকানের চিত্রই প্রায় একই রকম। মুখে মাস্ক থাকলেও তা নামিয়ে রাখছে নিচের দিকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওষুধের দোকান গুলোতে পরিচালিত হয়নি বলেও অনেকে অভিযোগ করছেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আসছে এমন কথা শুনলেই সবাই সতর্ক হয়ে পড়ছেন।
এক্ষেত্রে সাদা পোশাকে তড়িৎ এবং দ্রুত গতিতে ঔষধের দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন সচেতন নাগরিকরা। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের কোন প্রতিরোধ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নো মাস্ক নো সেল, নো মাস্ক নো বাই। মাস্ক ছাড়া কোন দোকানী থাকবে না, আবার মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতাও থাকবে না। এখন দেখবার বিষয় জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগ সফল হয় কিনা।