নাটোরকন্ঠ: নাটোরে ঢাকঢোল পিটিয়ে নাটোরের ডিসি এসপি আড়ম্বরপূর্ণ ঘোষনা আর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উদ্বোধন করলেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ পক্ষ। জনগণকে মাস্ক পড়াতে এ সময় সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয় মাস্ক। বক্তারা নানাবিধ কথা বলেন দেন হুঁশিয়ারি। কিন্তু জনগণ তা থোরাই কেয়ার করেন। নাটোর শহরের অদূরে তেবারিয়ার হাটে একই সময়ে চলছে তখন স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগিতা। হাজার হাজার মানুষ কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই। ৮০ ভাগ লোকের মুখে নেই মাস্ক। অথচ সেখানে প্রশাসনের কোনো লোককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।বিকেল পর্যন্ত এভাবেই চলবে হাট।
স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে জেলায় দশটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নামানো হয়েছে বলে জানানো হলেও হাট এলাকায় দুপুর পর্যন্ত একটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া পুলিশ সুপার শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে স্টলগুলোতে টিভি না চালানোর নির্দেশ দিলে ও তাবারিয়া হাটে এর আশেপাশে অনেক দোকানেই চলছিল টেলিভিশন।
নাটোরের তেবাড়িয়া হাট শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সমাগম ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। অর্থনৈতিক চাবিকাঠি বাণিজ্য আর এই বাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে করোনা কালীন চলছে তেবারিয়া হাট তবে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নাই এই হাটের কোন স্থানে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষ একত্রিত রয়েছে। স্তরে স্তরে সাজানো ছোট ছোট বিভিন্ন হাটি এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গরু হাটি ছাগল হাটি কবুতরহাটি সবজি ফলমূল হাটি সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র খাদ্য সামগ্রী ও চারা এবং বীজ এর দোকান বিভিন্ন স্তরে সাজানো আছে এই হাট সরজমিনে দেখা যায় এই হাটের কোথাও সামাজিক দূরত্ব বজায় নেই।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের কোনো তদারকি দেখা যায় না। শতকরা ৮০ জন মানুষের মুখে নেই মাক্স । কোথাও দেখা মেলেনি জীবাণু নাশক স্প্রে । এখানে উপস্থিত হয়ে বোঝা যাচ্ছে না আমরা করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? এমন দুশ্চিন্তায় নাটোরের সচেতন মহলের অনেকেই।