সাহিত্যিক সাফিয়া খন্দকার রেখা‘এর একগুচ্ছ কবিতা

0
422
সাফিয়া খন্দকার রেখা

আমি দেখি বৃষ্টি দেখে

(১ আষাঢ় এর নিবেদন)

তুই কি এখন বৃষ্টি ভিজিস দিনে কিংবা রাতে?
আমার কথা ভাবতে থাকিস
বৃষ্টি ভেজা প্রাতে?
বুকের ভেতর বৃষ্টিগুলো লুকিয়ে তুই রাখিস?
বৃষ্টি ফোটা দিয়ে কি তুই
আমার মুখটা আকিস?
অদ্ভুত তুই ছন্নছাড়া এখন কেমন থাকিস!
বৃষ্টি ভেজা চোখ নিয়ে তুই
আমায় কি আর ডাকিস?
বিশ্বাস কর সত্যি বলছি অনেকটা তুই দামী
বৃষ্টি এলেই দৌড়ে গিয়ে
তোকে ছুঁতে নামি।
বৃষ্টি ছুঁয়ে তোকে ছুঁই
কাঁপতে থাকে মন
আমার চোখে তখন শুধু
তুই ই আপন।
আষাঢ়ের প্রথম দিনে
কদম গুঁজে খোপায়
এই একাকী একলা ঘরে
কান্নাগুলো ফোঁপায়।
যার সঙ্গে আছিস এখন
জানে কি এই কথা
বৃষ্টি এলেই জড়িয়ে নিতি
আবেগে যথাতথা।
ভেঁজা চুলের গন্ধ নিতে
দস্যিপনা তোর
রাত কাটতো গল্প কথায়
স্বপ্ন নিয়ে ভোর।
বজ্রপাতের সময়টাতে
এগিয়ে দিতি বুক
কলমিলতার মতো তোকে
জড়িয়ে পেতাম সুখ।
আষাঢ় এলেই আজও সেই
অস্থিরতা নামে
কতো চিঠি পাঠাই তোকে
বৃষ্টি ভেজা খামে।
বৃষ্টি কথা থাক এখন
তোদের কথা শুনি
তোরা প্রেমে ভালো থাকিস
মিলনের জাল বুনি।
বৃষ্টি আমার অশ্রু গাঁথা
আকাশ জুড়ে কালো
বৃষ্টি ভেজা বাদল দিনে
তবুও থাকি ভালো।
এক হাঁটু জল জমে থাকে
মনের ঘরের কোনে
আষাঢ় এলেই তোর স্মৃতি সব
জড়িয়ে ধরে মনে।
মুশলধারে পড়ছে বৃষ্টি
জানলা খুলে দেখ
একলা পাখি পাতার ফাঁকে
জুবুথুবু এক।
আমি দেখি বৃষ্টি দেখে
আর দেখেনা কেউ
বৃষ্টি মেঘ কেমন জোরে
আছড়ে বুকে ঢেউ।
আমি দেখি বৃষ্টি দেখে
আর দেখেনা কেউ
বৃষ্টিগুলো কেমন করে
ভাঙছে বুকের ঢেউ।

মৃত্তিকার গন্ধ

ফিরে চাই জীবনের গতিবেগ
দিনের শেষে ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ করে
এক হিরন্ময় রাত্রির সন্ধানে ফের নতুন ভোরের ব্যস্ততা।
সন্তানের টিউশন ফি, ঘরভাড়ার টেনশনে কখনও নির্ঘুম রাত্তির,
সকালের চায়ে খবরের কাগজের অপেক্ষা,
ধোঁয়া – বায়ুদূষণের সেই জ্যামের শহরেই ফিরতে চাই।
চলমান এ জীবনের দুরুদুরু সন্ধিক্ষণে ঘ্রাণহীন জীবন,
স্বপ্ন নেই হাততালি নেই
বুকে দুর্বার তৃষ্ণা নিয়ে ঘরে ফেরার সেই সময় নেই,
চুমুর বিন্যাস, অধিকার, আপনকিয়া পরকিয়া নেই,
বিলবোর্ডের সুন্দরীর প্রেমেপড়া নেই।
সময়ের এই অদ্ভুত অধ্যায়ে কেবল অস্থিরতা
শূন্যতা আঁকছে মৃত্যুর আলপনা,
সারারাত দিন রিমোট হাতে স্কোর দেখা।
গতিহীন ট্রেনের মতো চেয়ে থাকে নির্বোধ চোখ,
চলমান দিনের শঙ্কায় নিঃশ্বাসে বেড়ে চলে অস্থির মৃত্তিকার গন্ধ
যেখানে অগণিত লাশের মিছিল।

কেন আর ফিরলেনা

তুমি এখন কেমন আছো বাবা
ঐ নক্ষত্রের মাঝে?
তোমায় আমি খুঁজে বেড়াই
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে।
এতো দ্রুত কেন লুকালে
কেন আর ফিরলেনা
দস্যিপনা খুব কি করেছি
তাই আর ডাকলেনা!
আঙুল ধরে হাঁটতে শেখালে
জীবনের কতো গল্প
নিজের পাতের সব তুলে দিয়ে
তুমি খেতে কতো অল্প।
অফিস ফেরার সময় হলেই
জমা হতো যতো নালিশ
মা কে শাসন করতাম কতো
বাবা করবেন শালিস।
একটু বড় হয়ে বুঝলাম
কলেজ যাওয়ার দিনে
বাবার সুখ বিক্রি দিয়ে
আমার শান্তি কিনে।
ছুটির দিনেও বাড়তি কাজ
আমার সুখের জন্য
মাইলকে মাইল হেঁটে যেতে
টাকা বাঁচানোর জন্য।
ঘরে ফিরতে হাতে নিয়ে সেই
প্রিয় চপ আলু পুরি
সব স্মৃতিগুলো বেঁচে আছে বাবা
ব্যাথার কবর খুড়ি।
আমিও এখন হয়েছি বাবা
খোকন আমার আয়না
তোমার মুখটা জড়িয়ে থাকে
এতোটুকু ভোলা যায়না।
ইচ্ছে করে খুব আবার
তোমার খোকা হই
চুপটি করে তোমার বুকে
জড়িয়ে ঘুমিয়ে রই।
মস্ত আকাশ ছিলে বাবা
এখন বুঝতে পারি
ফিরে এসো বাবা আরেকটি বার
নইলে নেবো আড়ি।
একবার এসে আঙুল ধরো
ছোট্টবেলার মতো
জমে আছে বাবা ঢের অভিমান
লক্ষ হাজার শতো।

আমার এখন ভিষণ খরা

(আত্মহত্যা একটি মানুষিক অসুস্থতা, মনের পরিচর্যা শরীরের মতোই জরুরী)

জীবন থেমে যায় সময়ের আগেই
ইচ্ছে মৃত্যুগুলো কত কোটি
আত্ম চিৎকার
বুকে চেপে রাখে!
মানুষের সাথে কখন চুকে যায় তার সব লেনদেন?
ঈশ্বরের মুখোমুখি হয়ে যাওয়ার ইচ্ছে তাড়া করে বুঝি খুব!
যে জানালায় দাঁড়িয়ে দেখা হয়েছে অগণিত
পূর্ণিমা চাঁদ অমাবস্যা রাত
সেও বন্ধ হয়ে যায় নিজেই।
মনে পড়েনা বুঝি কোন প্রিয় মুখ!
এমন কি মা-কেও!
বুকের ভেতর থাকে মস্ত এক বাড়ি
মস্ত এক উঠোন –সে উঠোনে শৈশব, কৈশোর, যৌবনের ঘাস ফুল, জুঁই চামেলি
কাগজের নৌকা,
থিয়েটার ঘর, চায়ের আড্ডা, প্রথম প্রেম কিছুই কি থাকেনা জমা?
সেই যে….
“আমার এখন ভীষণ খরা
হাতের মুঠোয় লক্ষ তারা
একটি তারাও যায়না ধরা ”
তোমরা যখন আমার ছিলে বুকের ভেতর আকাশ ছিলো,
সংগোপনে কোথায় গেলে কোন সে দূরে!
আমার কেবল ঋণ রইলো নিজের কাছে
অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো ব্যাপক হয়ে আটকে গেছে বুকের ভেতর,
বললো ওরা চলনা এবার মরেই বাঁচি
ঐ জীবনটা কেমন তরো চলতো এবার ঘুরেই আসি।
শর্তহীন
অনেকটা ঋণ
কে জিতে যায় জীবন নাকি মরন!

নেকাবের আড়ালে

খাঁ খাঁ রোদ্দুরে নগ্ন পায়ে হাজার বার হেঁটে এসেছিলে,
অগ্নি বৃষ্টিতে পুড়ে তামাটে চামড়া শুষ্ক ঠোঁট
গনগনে আগুন রোদে হেঁটে আসা তোমাকে
গোপনে চেয়েছি লক্ষবার।
মানুষের মুক্তির চেতনায় আমলা মন্ত্রীদের উলঙ্গ করতে যখন,
এ হৃদয় ঘায়েল হয়েছে সেই তখন।
টিফিন না খেয়ে একটি নুতন পাঞ্জাবী কেনার টাকা জমাতাম,
মুজিব,ম্যান্ডেলা,ভাসানীর মত আঙুল নেড়ে মুক্তির কথা বলো,
পুরোনো পাঞ্জাবী বড় বেমানান লাগতো,
কনে দেখো এক বর্ষণ মুখোর সন্ধ্যায়
সরকারি মাইনে পাওয়া একজনার দখলে গেলাম ।
গোপন তৃষ্ণায় মিছিল মিটিংয়ের ভীড় দেখলেই
থমকে যেতো পা
আমার পুরুষ একদিন প্রশ্ন করেই বসলো স্টুডেন্ট-পলিটিক্স করতে বুঝি ?
বছর পাঁচের মধ্যে লাভলু বাবলুর মা,
ছ’বছরের মাথায় এক রাতে পুলিশের একটি লাশবাহী গাড়ি দরজায় ।
মাঘের কনকনে শীতেও ঘামছিলাম সেদিন,
দুর্দিনের ক্ষুধার আঁচড় সংসারে,
ফাইল দৌড়ায় এ টেবিল ও টেবিল ।
কে চেনে নেকাবের আড়ালের এই মুখ??
শত জনার শত পরামর্শ
একজন রাজনিতীবীদের একটি ফোনে সমাধান হতে পারে, বলে কেউ কেউ ।
লাল কার্পেটে মোড়ানো ড্রয়িংরুমে এ.সি ঘরেও ঘামছি
ঝলমলে পাঞ্জাবি, উপড়ের বোতাম খোলা
সোনালী ফ্রেমের চশমা,
হাতের প্রায় সবগুলো আঙুলে বিভিন্ন রঙের পাথর ।
তামাটে চামড়া উজ্জ্বল জ্বলজ্বলে,
শুকিয়ে এলো কণ্ঠস্বর ।
অস্ফুট কণ্ঠে বোললাম, “পানি”
হঠাৎ কানে এলো – কেন যে এইসব ঝামেলা বাড়িতে ঢুকতে দিস ।
কিছুই বলা হলনা
টালমাটাল আমি নেকাবের আড়ালে মুখ লুকিয়ে রাস্তায় পা বাড়ালাম…….

প্রেম

একদিন প্রকাশ্যে
আমরা আলিঙ্গন করবো,
সেদিন ওরা আমাদের
জীবিত কবর দেবে।
আমরা জন্ম নেবো ফের
ঈশ্বরের নতুন নামে,
জীবিতরা ঈর্ষা করবে
ওরা খুঁজবে—–আমাদের
মসজিদ, মন্দির, গীর্জায়
ওরা জানবে না তখনো
ঈশ্বরের অন্য নাম প্রেম।

কান্না

(ফ্রন্ট লাইনে থেকে covid 19 এ যারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের উৎসর্গিত)

সময়ের ফ্রেম সাক্ষী
গভীর অগভীর কত ক্ষত নিখোঁজ
তীব্র রোদের মত মন ছুঁয়ে নিশিগন্ধার ঘ্রাণ,
নেশার ইমেজ খুঁজে পায়না কেউ
হাড়ের ভেতর তৃষ্ণার ঘোর কেটে গেলে
জন্ম মৃত্যুর মাঝে খুব কি পার্থক্য!!
কোথায় কে যায়!
ছুঁয়ে দিয়ে আরণ্যক মন!!
এক পৃথিবী ভালোবাসা তোমাদের জন্য হে পৃথিবীর মানুষ
জীবন বাজি রেখে যারা দিয়ে যাচ্ছো নিজেকে বিলিয়ে,
তোমাদের জন্য এই যে কাঁদি এর নাম ভালোবাসা
আর সব মিথ্যে…

ঈদ আসে ঈদ যায়

এই যে বেঁচে থাকা আমি অলৌকিক ভাবে
কথা বলছি আকাশ দেখছি
মা ডাকছি
আবার কবিতাও পড়ছি
আমার সন্তান প্রশান্তিতে জড়িয়ে ঘুমোচ্ছে,
তীব্র চুমু খেয়ে প্রিয়তম বলছে
এই ঈদে আমরা বেঁচে আছি দেখো,
দেখো কি অদ্ভুত সুন্দর বেঁচে থাকা
মৃত্যুরঙা আকাশ ঘিরে আছে সামিয়ানা টাঙিয়ে,
বাতাসে উড়ছে মৃত্যুর পরোয়ানা
তবুও ঈদ এসেছে আমার বেঁচে আছি এই ঈদে
আমাদের হৃদপিণ্ডে খচখচ করে বিধছে স্বজনের মৃত্যু
যার শেষ মুখ দেখা হয়নি আমাদের
পৃথিবীতে এখন খলখল শব্দে হাসছে ভাইরাস,
হাতের তালুতে নিশ্বাসে মারাত্মক তেজস্ক্রিয়তা
তবুও ঈদ এসেছে
পৃথিবী তার দেয়াল শরীরে লিখে চলছে অন্য এক ঈদের গল্প
যে গল্পে নতুন সার্ট, সেমাই এর বদলে নুন ভাতের চাহিদা খুব বেশি
অর্থনীতির চাকা গতিশীল নেই জেনেও
আমাদের ক্ষুধারা তীব্র থেকে তীব্র হয়,
উৎপাদন বন্ধ থাকে তবুও আমাদের ঈদ আসে
আমাদের ক্ষুধা লাগে
কারখানা বন্ধ থাকে আমার কর্মহীন হতে থাকি
উৎপাদন বন্ধ, চাকা বন্ধ
ক্ষুধার্ত মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়
আমরা এক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে খুব দ্রুত ঢুকে পড়ি অন্য এক মৃত্যুর ভেতর

রোদের মতো

(উৎসর্গিত তাজিন আহমেদ জল–সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী)

দুপুরের মত বেড়াল পায়ে বিকেলগুলোও চলে চলে যায় দূরে এ শহর ছেড়ে তোমার শহরে…
ধোঁয়ার মত ধূসর শূন্যতায় ভরা নির্জন সময় আমার কেউ দেখেনি একজন ছাড়া…
প্রাপ্তবয়স্ক অন্ধকার অতিক্রমে অক্ষম আমি
একা…. তুমি হাত ছেড়োনা…
ধূসর পাণ্ডুলিপি
সময়ের দূর্লভ দৃশ্য অপূরণ ক্ষতিতে হাড়ের তীব্র যন্ত্রণা…
দ্বিধায় আর কতবার মৃত্যু হবে আমাদের!!!
দূর যখন শুয়ে থাকে ছায়া হয়ে বুকের উপর,
রক্তের হিমোগ্লোবিনে অদ্ভুত অনুভব..
এখানে এখন তীব্র রোদের মত উড়ছে
আমাদের ভালোবাসা।
যেখানে আত্মারা প্রতিদিন
বেঁচে ওঠে অপার্থিব এক অনুপ্রাসে।
আলোর অলিক আভায় অঙ্গীভূত হয়ে আছে যেমন আদম-হাওয়া..
আলোকবর্ষ আয়ুষ্কাল নিয়ে আমারা হেঁটে চলছি
অস্থি থেকে মজ্জায়
দৃশ্য থেকে অদৃশ্যে…
বিশ্বাসের অধিক বিস্ময়ে তোমরা খুঁজে পাবে
একজোড়া মন কেমন করে মহাকাল ক্ষয় করে
একটি মন হয়ে বেঁচে আছে……

ফিনিক্স

সূর্যকে ঝুলিয়ে রাখি কার্ণিশে নগরের চিলেকোঠায়,
আকাশ দেয়ালে লিখে রাখা সেই সব পদ্য
ফিনিক্স হয়ে ফিরে আসে।
শব্দরা সূর্যস্নানে পূর্ণ হয়ে ওঠে,
ইচ্ছের নাকছাবি ছুটে যায় তেপান্তরের মাঠে।
খেয়ালি আলিঙ্গনে আমিত্বের বেচা কেনা চলে নতুন উদ্দীপনায়।
নির্লজ্জ সুখতারা গণস্রোতে মোহাবিষ্ট,
চন্দ্রাবতীর নির্ঘুম চোখ চেয়ে দেখে আকাঙ্খার আসক্তি।
ঝুম বৃষ্টিতে রূপবতী চাঁদ আবিষ্কার করে
কোথাও প্রেম নেই,
নগরীর চারিদিকে অগণিত পতিতা পুরুষের মুখ
তোমার মুখের সাথে হুবহু মিল।।

অনাত্মীয় এ রাতে

জোৎস্না মাখা রাতের একটি গল্প আছে যেমন, তেমন
অমাবস্যা রাতেরও একটি মায়াময় গল্প আছে।
পথে পথে বুনো ফুল ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হেঁটে যাওয়ার
সেই গল্পের সাথে, ট্রেনের চলে যাওয়ার গল্পের কোন মিল নেই।
পুকুরের কলমি লতাদের ভেসে ওঠা হেসে ওঠার সাথে
কার যেনো হেসে ওঠার খুব মিল আছে।
জোনাকির আলোর মতো সোডিয়াম বাতিগুলোও মৌরি ফুলের গন্ধ খোঁজে,
অনাত্মীয় এ রাতে ছেড়ে যাওয়া মায়া
চুমু খেয়ে বলে যায়
বিচলিত স্নেহের ঋণ শোধ দিতে ফিরে আসবো ফের
তুমি ঘুমিও না জেগে থেকো।

Advertisement
উৎসসাফিয়া খন্দকার রেখা
পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রাম পুলিশদের ৪র্থ শ্রেনীর মর্যাদার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে– পলক
পরবর্তী নিবন্ধনাটোর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর শিকলবন্দি মেয়েকে উদ্ধার করলো পুলিশ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে