নাটোর কন্ঠ: নাটোর শহরের পানি নিশ্কাসনের অন্যতম প্রবাহ বর্তমানে দখল হয়ে যাওয়া ভূষিখালির জোলা আংশিক দখল মুক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় নাটোর সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেত্রীবৃন্দ সাথে নিয়ে নাটোর শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ভূষিখালির জোলার একাংশ উত্তরা প্লাজার পূর্ব পার্স্ব দখল মুক্ত করলেন নাটোর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। জোলাটি সম্পূর্ণ দখল মুক্ত করতে পারলে শহরের জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আজ ভুসি খালি জোলার আংশিক দখলমুক্ত করা হলেও অধিকাংশ খালটি রয়েছে প্রভাবশালীদের দখলে। খালের দুই পাশ থেকে বন্ধ করে বাড়ি ঘর তুলে ফেলেছে প্রভাবশালীরা। কেউ কেউ নির্মাণ করেছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তুলেছেন বড় বড় বিল্ডিং। ফলে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় প্রশাসনকে। ভুসি খালি জোলা সংস্কার করে একটি বড় পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল নাটোর পৌরসভা। প্রভাবশালীদের কারণে সে কাজও মাঝপথে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেই ড্রেনটির পানি নিষ্কাশনে তেমন কোন কাজে আসছে না বলে জানান সচেতন মহল। নাটোর শহরের বড় একটি মিষ্টি ভান্ডার ও আরো বেশকিছু বড় ব্যবসায়ী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দখল করে রয়েছে ভুসি খালি জোলা। জোলাটি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করার দাবি স্থানীয়দের।