বড়াইগ্রাম, নাটোর কণ্ঠ: গত কয়েক মাস ধরে চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বনপাড়া এলাকার জনজীবন। গরু চুরি থেকে শুরু করে বাড়ির মালামাল নিয়মিত চুরি হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। স্থানীয়দের অভিযোগ চোরদের ধরতে কিংবা মালামাল উদ্ধারে প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় এমন ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
বনপাড়া কালিকাপুর বাইপাস এলাকায় শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন আজ রাতে তার একটি গাভী যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা। সেই গরুটি গতরাতে বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেছে।
একই এলাকার খায়রুল ইসলাম খারু জানান, গত রাতের আগের রাতে তার বাড়ি থেকেও এটি গাভী চুরি হয়ে যায়। শুধু গরু চুরি নয় ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটছে অহরহ। কেউ কেউ থানায় অভিযোগ করলেও অনেকেই থানায় অভিযোগ করতে চান না। এতে আরো ভোগান্তি বাড়ে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে গত শুক্রবার রাতে ওই কালিকাপুর এলাকাতেই মোস্তফা খানের ছেলে জয়নাল আবেদীন জনির বাড়িতে চুরি হয়। সোনার গহনা মালামাল সহ বেশ কিছু সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় চোর, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।
এসব চুরির ঘটনা স্থানীয়দের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনিক দ্রুত পদক্ষেপ এর দাবি তাদের। এছাড়া স্থানীয়রা অভিযোগ করেন গত ২ মাস আগে স্থানীয় কমিশনার নজরুল ইসলামের একটি মোটরসাইকেল হারিয়ে গেলেও তা এখনো উদ্ধার হয়নি। এছাড়া হারুনুর রশিদের বাড়িতে চুরি হয় বেশ কিছু টাকার মালামাল এবং একই এলাকার মোস্তফার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় চোর। কোন ঘটনাটি আজ পর্যন্ত সুরাহা হয়নি ধরা পড়েনি কোন চোর কিংবা উদ্ধার হয়নি কোন চোরাই মালামাল।
এদিকে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, আমরা নিয়মিত পুরো থানা এলাকা মনিটরিং করছি। আগের যেকোনো সময়ের থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো রয়েছে দাবি করে তিনি জানান , যে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসলে আমরা দ্রুত গতিতে সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিন্তু কেউ যদি কোনো অভিযোগ না করে আমাদেরকে তাহলে কি করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা তার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। তবে চুরির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ফলে আগের থেকে অনেক চুরির ঘটনা কমেছে এবং ধরা পড়ছে চোরেরা বলেও জানান তিনি।