মন্ত্রী পলকের কাছে দাবি সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের

0
334

নাটোর কণ্ঠ: চলনবিল অধ্যুষিত বিস্তৃর্ণ সিংড়া উপজেলার একটি বিচ্ছিন্ন গ্রামের নাম তিতলাগাড়ি। প্রায় ৯০ টি পরিবারের হাজারখানেক লোকের বসবাস গ্রামটিতে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মূল সড়ক থেকে গ্রামটিতে যাবার কোনো রাস্তা নেই। শুকনো মৌসুমে জমির আইল গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা। বর্ষার দিনে বেশি পানি না হওয়ায় নৌকার ব্যবহার করতে পারেন না গ্রামবাসীরা। ফলে জমির আইলের ও ড্রেনের উপর দিয়ে প্রায় ৭০০ মিটার বাঁশের মাচা বানিয়ে যাতায়াত করতে হয় ওই গ্রাম বাসীদের। এ মাচা তৈরি করতে খরচ করতে হয় নিজেদেরকেই। অথচ বারবার নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেন নেতারা। কিন্তু স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত কেউই তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। ফলে দুর্ভোগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

ওই গ্রামের বৃদ্ধ জমির উদ্দিন নাটোর কণ্ঠকে জানান, বর্ষাকালে এই বাঁশের সাঁকোই আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। খরা মৌসুমে অপরের জমির উপর দিয়ে যেতে হয়। ৯০ টি পরিবারের প্রায় হাজারখানেক মানুষের বসবাস আমাদের গ্রামটিতে। তারমধ্যে শতাধিক শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের যাতায়াতে অনেক সমস্যা হয়। শহরতলী থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে সরকারিভাবে সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য মেম্বার, চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য সহ অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি অর্ধশত বৎসরেও আলোর মুখ দেখেনি। আমরা এখন কী করবো কার কাছে যাব। মন্ত্রী পলকের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত এই সড়কটি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ নাটোর কণ্ঠকে জানান, তিতলাগারি গ্রাম টি জনদুর্ভোগ পূর্ণ, এই গ্রামে প্রায় ৯০টি পরিবার বসবাস করেন। মানুষের যাতায়াতের অনেক সমস্যা হয়, স্থানীয়ভাবে আমরা রাস্তার রেখা নির্মাণ করেছি কিন্তু একজন প্রভাবশালী জমি ওয়ালা আতাউর রহমান তিনি আমাদের নামে মামলা করেছেন, ফলে আমরা থমকে আছি। মামলা নিষ্পত্তির জন্য মন্ত্রীমহোদয় তাকে বারংবার দেখা করতে বললেও তিনি সাড়া দেননি ফলে থমকে আছে কাজ।

একজন প্রভাবশালী মানুষের জন্য হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কোনমতেই কাম্য নয়। বিষয়টি দ্রুত বিবেচনা করে সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন উদ্যোগী হয় গ্রামবাসীর সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হবেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনলডাঙ্গায় বারনই নদীতে নৌকায় অশ্লীল নৃত্য,৫০ হাজার টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধসাহিত্য একাডেমির আড্ডা ও পূর্বাপর সুধাযোগ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে