কবি নাসিমা হক মুক্তা‘এর একগুচ্ছ কবিতা

0
560
Nasima Akter Mukta Mukta

সুখ ও মানুষ

নাসিমা হক মুক্তা

সকাল মুখ তুলছে
শিশির ঝরার আগমনে তৈরি হচ্ছে বেশ
এমন সুখ শিহরণে অষ্টমী, নবমী ও দশমীর
মন ভাল নেই
মানব মঙ্গলে ঈশ্বর সিনা উঁচু করে যেসব ঢালছে
সবকিছু প্রার্থনার এক একটি অংশ
কাঠকুটোর মহা কৌতুক থেকে সুখ- সম্ভার নিয়ে
বুক ভরায়
তাদের ফিরে যাওয়ার মহোৎসবে
ভবিতব্যের জীবন কাঁথাফোঁড়ে বার্ধক্য এসে
লুটিয়ে পড়ে – মায়ের মূর্তিতে
ধনেজনে যে শালবন আঁচল পেতে শুধুই নিত
সে দ্বিধায় মগ্ন হয়ে কেবল সম্প্রীতি খুঁজছে
পৃথিবীতে বাঁচার সামগ্রী হলো “সুখ ও মানুষ ”
দু’টো মিলে মাটির ভিতর খুড়ে সুষমা ছড়ায়
সেসব আসে পূজোর ঢালায়
সে জড়িয়ে পাতাপুঁতা সংসার গড়ে
দীর্ঘ বন্ধনে হাঁটে থানকাপড়ের মন
আঁখিদুটির মর্মতলে জেগে থাকে – রক্তের হোলি
ভিতরে – বাহিরে এক রঙ
যা শিরা-উপশিরা ছেয়ে মুনষ্যত্ব বানায়।

অকালপ্রয়াত সংসার

নাসিমা হক মুক্তা

ধূসর কাব্য, একখানি ফিরে যাবার জীবন
সাথে সাথে হাঁটে মানুষ
আর দেবতা গুনে তার সময়
দরজা- জানালা যতই আটকে রাখে ততই ভাঙ্গে
অনিবার্য সত্য ;
এই ভ্রমণ অঞ্চলে পৌঁছার আগেই
খরচোখে হাসে অকালপ্রয়াত সংসার
রাঙা মানুষ ও তার হুঁশ দু’টো
দুপুর, রোদ্দুর ও জলে ভাসতে ভাসতে মুছে যায়
নিঃশ্বাসের অশ্বক্ষুর…
আর ঝুলিতে থাকে নাসার গহ্বরে অশ্রু টলটল
আগুন ফেনা
কারো কাছে জিজ্ঞেসে সুযোগ নেই যে –
আয়না মুখে মৌসুম ফুটছে কিনা?
এক চিলতে দাবা, একটুকরো মগজ
বেঁচে- বর্তে নিজেকে চেনা- জানা বিশাল ফারাক
বিনাশমুখী মানুষ রক্তের জোয়ারে জম্মালেও
শক্তি তার ক্ষীয়মান
বাঁধন ভেঙে ধনজয় ফেলে কচু পাতা জলের মত
টুপটুপ ঝরে পড়তেই হয়…
প্রতিটি মাটির মূর্তিকে…

অঙ্গ স্পন্দন

নাসিমা হক মুক্তা

পালক ছড়ানো তুমুল ছন্দে
লজ্জাবতী লতা
ছড়িয়েছে তার উচ্ছল অাভায়
মন বসন্ত তাতে দুচার চুম্বনে ঘুরে ঘুরে
ফুল ফোঁটায় তীব্র কামনা
এমন আঁতিপাঁতি খেলার অন্তরঙ্গ নোঙর
ঝড়ের তামামে
ভেতর – বাইরে তাল শুনে সখ্যতার চিবুক
সুখের উপমাগুলো আশ্চর্য ঝংকারে
বহু দিগন্তে পৌঁছে
শিথিল অনুপ্রাসে স্বাদ টানে অঙ্গ- স্পন্দন
অতঃপর পূর্ণিমার আলো
দুয়ার খুলে ছুটে যায় বহুদূরে
ভুবনডাঙার খাজনাবিহীন নিবিড় চাষে…

প্লাটিনাম

নাসিমা হক মুক্তা

তরুণ সূর্যের মত দৃষ্টি
মনের ভেতর দুফসলি সুখের কচি গান
জরিনার আমের বোলে ম ম ঘেরান ছড়ায়
তার ঘুমন্ত বীজ অঙ্কুরিত হয়ে
মধু বিস্ময়ে কান পাতে সোনা জলের নাহানে
গালিচা তার রসায়ন বিদ্যার পাঠে
রাঙাতাপে হাত বুলিয়ে আঁকে পুচ্ছ পুচ্ছ টেউ
এমন সুরে নেচে ওঠে প্লাটিনামের বাকল
কত পথ ধরে নদীর অভিমুখে
তীব্র চেতনায় প্রাণ জুড়ানো স্রোতে ভেসে ভেসে
সমুদ্রের কাঁকড়ার লাজুকতা ভেঙে
তলা ছুঁয়ে রস ও মনের পরখ করে
প্রাঞ্জল তৃষ্ণার কলরবে
নৈঃশব্দ্যের নাড়িভুড়ি দিয়ে ঘুমায় ইচ্ছের মাদকতা
অমন নেশায় তন্দ্রার জোনাকিরা
অজস্র ফুল ছিটিয়ে আড়াল করে চাঁন্দের আলো।

ক্ষুধা

নাসিমা হক মুক্তা

আমি চুপ থাকা বিবেককে খুঁজি
সে কি মোড়ক খুলে প্রবালপান্নায়
নিজেকে চেনাবে আদিম আর্যের মোড়ল হিসেবে
বধ্যভূমি – চিতায় পুড়ানো রক্ত
দেখতে কলিজাটা কফিনের কালো তিমি
জীবন মনুষ্যত্বের ভেতর
সেখানে ঈর্ষাপরায়ণ দ্রুতগামী ছলনা খেলা
ছেঁড়ার মাংসের একটুকরো দাম্ভিক চুনি
এই অভিশাপ ভরা মগজে ঘুমায়
মানুষের পিতা রূপে নির্মম এক আত্মা …
ধরিত্রীমাতা ডানা মেলে জিভটা ধরে দেখে
ঠিক জায়গায় স্বাদ নিতে পারে কিনা
ভীতিময় কীর্তির গহ্বরে লুকিয়ে থাকে
শৃঙ্খলিত দু পয়সা জীবন;
শেকলে বাঁধা হাড়গুলো ফেড়ে বজ্রপাত ঝরে
মধ্যখানে মুখোমুখি – পিতা ও মাতা
আদিগন্তের অন্তর্বাসের বিশুদ্ধ ক্ষেতে
শস্য বপনকারী সুখের রুহ
আঁধার গুহায় ছাড়ে – অভিলাষ-অভিসম্পাত
দুটোর মাঝখানে ক্ষুধা…

প্রস্থান

নাসিমা হক মুক্তা

যদি সারাবেলা আলো থাকতো
প্রতিটি পথ দিয়ে হেঁটে যেতাম দুয়ারে – দুয়ারে
নিখিল পরিভ্রমণে দেখছি – সে সব থাকে না
বদলে যায় সময়ের সাথে সাথে
যতটুকু পায় তা সঙ্গী করে প্রয়োজন মেটায়
সবার জন্য একই নিয়ম
তবুও মানুষ সে নিয়ম ভেঙ্গে, বারবার ঘুমাতে চায়
জীবনে ঘুম একবার আসে
যদি তা আসে আর জাগানো যায় না
চিরনিদ্রায় আখের গুছিয়ে শুকনো পাতার মত
পড়ে থাকতে হয়
রোদ্দুর মাঝে, অশ্রুজলে ও স্মৃতিতে
একদিন নিশ্চিত মৃত বলেই
বাতাসে বাতাসে সুবাস ছড়াবে কিছু কর্মের, কিছু ধর্মের
কর্ম যে সব মানুষকে মানুষ বলে তা নয়
কিছু কিছু কর্ম প্রস্থানের পর হেসে ওঠে
তখন কি তা মানুষ দেখতে পায় ?
যদি পেত শুধরানোর বিনয়ে
আবার মানুষ হতে পারতো…
হে মানুষ, তুমি প্রস্থানের আগেই
জীবন কে দেখ, তারপরে নয়
দৃশ্যমান সবকিছু সুখের, তবে অদৃশ্য হলেই
মানুষ চোখ দিয়ে মগজ ঠুকরায়!

কার বিরুদ্ধে যাবো

নাসিমা হক মুক্তা

কার বিরুদ্ধে যাবো, মানুষ নাকি মগজ
জীবন বিধান যার ধারণে
বাঁচায় তার ফুল- পত্রপল্লব
প্রকৃতিতে ধরায় সবুজ, শ্যামল হয় রূপ
তরতাজা হয়ে শাদা থান শুভ্র করে তুলে
চলে যাওয়ার সীমানায় আঁকে নিষ্প্রাণ অস্তিত্ব
দীর্ঘ বসবাসে হাড়ে- চুনে যা ঠোঁট গিলে
দুগ্ধ ঘি মলমের আমিষ খেয়ে
গায়ের ভেতর রস বাড়ায়
সে মানুষ এক নিমেষেই ভুলে যায় – পৃথিবী ভ্রমর
মানুষ চিরকাল ভোজনে- ভজনে আনাড়ি
পাওয়ার আশায় বারবার চোখ ফুটায়
ভিখিরির মত ডাল-ভাতের থালা
শূন্য করে প্রকৃতিকে মাগে
পা হেঁকে বসে – লোভে – তাপে মনুষ্যত্ব ছেড়ে
শরীর জুড়ে অভিনব টানাপোড়েন
পোষাক ছাড়ে বিবেকের
ভোগের ইচ্ছে উদ্যত যামিনী যেন
নিত্য চমকপ্রদ গোপন শস্য রোপণ করে
মানুষ ভাগায়
সুগভীর নগ্নতায় বাঁধে স্বপ্ন
তারা রোগ সেজে সমাজ খায়
তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া তো যায় না
আফসোসে বলি
কার বিরুদ্ধে যাবো, মনুষ্যত্বের, নাকি মগজের

নগণ্য জীবন

নাসিমা হক মুক্তা

সকাল পরে রোদ্দুর ঝরছে
মনটাও সজীব
এমন সময়ে একটি দীপ্তি দরকার
পথে পথে পাতা পড়ে রাতভোর হলো অনাদরে
সেসব কুড়ানো খুব বেশি প্রয়োজন
ওদের ছুঁয়ে দিলে সার হয়
ওদের জ্বালালে হাঁড়িতে কার্বোহাইড্রেট জন্মে
ওসব খেয়ে শুভ্র বসন প্রকৃতি জুড়ে হাসে
ধুলো ঝুলেও মানুষের জীবন লুকিয়ে থাকে
জগতের সমস্ত কিছু সাদা কাগজের মত
যখন যেভাবে লিখবে সেসব রঙিন হয়ে ওঠে
প্রাপ্তির খাতায় আসে – রাশিরাশি তৃপ্তি
দেহের নয়নে বান আসার মত
মানুষ সহজ পণ্য চায়
জীবনকে দেখে নগণ্য হিসেবে
কায়ক্লেশ, ঘাম ও দাম দিতে চায় না
নদীর ভেতর জাল ছাড়লেই যে সুখ ধরে
সেটি মানব বুঝে না
গাছের সবুজে দিকে তাকালে চোখে বল আসে
তা তারা জানে না
সবকিছু মন- মর্জি
বিনা কায়দায় আদরে চুমায়
কারণবশত জীবন আস্তে আস্তে তাদের ছেড়ে
প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে।

জন্ম শেকড়ের টান

নাসিমা হক মুক্তা

মুখ ভার আকাশের
একটু আগে খুব ঢেলেছে তার কষ্ট বোধ
খোলা মাঠ পেয়ে মহা খুশিতে দিগন্ত ধ্বনি
মেঘকে ছাড়িয়ে নেমেছে গেরস্ত – সংসার ও সবুজ পল্লবে
কুঁড়ের ছাউনিতে দারুণ বাদ্যযন্ত্র বেজে
গুটিয়ে নিয়েছে আধফালি বৃষ্টি
মাটি ফুঁড়ে যে বীজের মুখ হা করা ছিল
তারা একটুখানি গিলেছে জল
ঘাস গঞ্জের অাধামরা রেণু নাসিকা উঁচু করে
কাণ্ডের মস্তক প্রাণস্পন্দনে কিলবিল হেসে
নিজ বাসে ফিরেছে – অন্তর্গত কচি চোখ
কোন কালের আশায়
কোন আশ্বিনী বৃষ্টি আশায়
এখন বৃষ্টি স্থির, তারাও স্থির
বৃষ্টি যদি তাদের নাকের ডগা না ছঁই
অস্ফুট সব বাচ্চা ফুটানো সমূল কাণ্ড
টানটান বৃন্ত ভ্রমণ থেকে ঊর্ধ্বমুখে ফিরতে পারে না
জন্ম শেকড়ের টান এমনই!

ক’পৃষ্ঠা সময়

নাসিমা হক মুক্তা

দিন ফুরিয়ে রাত এলো বাড়িতে
জ্যোৎস্না ছড়িয়ে নেশা জেগেছে চরে
ঢুলু ঢুলু চোখের শুকতারাগুলো
আকাশ তলে মস্করা খেলে
তালে তালে সুখের দর্পণে ভেসে ওঠে
অচেনা মন ও প্রতিবেশী
তার নিঃশ্বাসে শহরজুড়ে ভাঙন সুর
অঝোরে ঝুলছে বৃক্ষ পাতা
কোন্ ঝড়ে ঘিলু চুষে নেবে
জীবন তা জানে না
অঘোর ঘুমে মোহিত প্রাণ
নিজের অগোচরে সাজায় ” সমাধি ”
ক’পৃষ্ঠা সময় পায় মানুষ
চলাফেরার স্বর্গের মাঝখানে পড়ে থাকে বিদায়।

অভিমান

নাসিমা হক মুক্তা

শব্দের ভেতর একগাল অভিমান
আকাশ থেকে ভুঁড়ি ভোজন চামচ বরাবর
মাড়িয়ে যাচ্ছে লাঙল ফনার চোখ
বন্দর ধরে হাওয়ার বিপ্লব
নবীন চারার গায়ে পর্দা টেনে
সমস্ত সবুজ আগুনে পুড়ে
মুখোমুখি জীবন মোহর-
ছেঁড়া মেঘে আঁধার করে সঙ্গম
বাঁচার সুখ সনেটগুচ্ছ আগাগোড়া মরা চৈতন্যে
পাংশু ছায়ায় দেয়াল টপকায়
সটান দরজায় হাঁফ ছাড়া গোলাপ শুকিয়ে
মুচকি হাসে ভুলের
প্রশস্ত নদী কাদায় কাদায় ভরে শুকনো কাঠ
সড়ক ফাটলে অন্ধ চুক্ষ পিছলে পড়ে গেলে
বেলতলায় আর ফিরে যেতে চায় না
মর্মছেঁড়ার সোনালি কপাল….

বাটখারা

নাসিমা হক মুক্তা

শ্বাস আছে, ঠিকমতো চলছে শিরা-উপশিরা
হিমোগ্লোবিনও জন্মাচ্ছে প্রতিনিয়ত
চোখের দৃষ্টি অমরত্ব খুঁজে, স্বপ্নটা পলাতক হরিণ
আর মন ; সে তো মূঢ় দেবতা
বিহ্বল প্রান্তের ম্লান এক প্রণয়
যা অর্কহীন অরণ্যের টুকরো টুকরো কাঠ
জীবন একটি বৃক্ষদেবী
যার ছায়ায় মানুষ বাঁচে, নূপুর বাজায়
সবুজ জড়োয়া কাতানের বক্ষে
চিরহরিৎ অঞ্চলের অক্ষপথে মগ্ন পরাঙ্মুখ
তেরছা তীরে বন-বাদুরী কাতারে কাতারে
অচল হয়ে – মুখ ফিরায় ব্যঙ্গ কৌতুকে
মানুষ নামক প্রাণী চিরকাল উদাসীন
খায় – পরে ও দাঁতে চাঁটে অণ্ড
তাদের জিহ্বার স্বাদ রঙ বদলায় ক্ষণে ক্ষণে
বাটখারায় ওজন করে প্রাপ্তির ঝুলি
পরে ঝুলি শূন্যে হলেও ঝিলিক মারে চোখ
সব মন্ত্রের ভেতর থেকে নিজের ভাগটা
আগে নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় মহিষের মত
এবং নিভৃতে ঘোলায় চাষ করে ভিন্ন-ভিন্ন মাছ।

পরস্পর

নাসিমা হক মুক্তা

গা ছুঁয়ে পুরো বসন্তের তানপুরা বাজে
হাফ ছাড়ে মর্মের ভেতরে
তাপমাত্রার গতি ডিগ্রি পার হয়ে অগ্নিকুণ্ডে
জ্বলে ওঠে মাতাল রক্তকণিকা
মনের টেলিগ্রাফ আঁকে বহু সুবোধ
রাজমুকুটের রাংতা পড়া ননীর দুলাল
বুক তরঙ্গে ঢেউ ছলাৎছলাৎ মিহি বোল কাটে
দরাজ ইচ্ছের ঠোঁটের কশ ঝরে পড়ে
আট- পহরের শিশির স্নানে
সুখের কল্লোলে সবুজ কমলের মগডাল
নওল পনা লাহান ধরে আঁজলায় ভাসে
লাল আগুনে জলের গেলাস
এমনতরে পরস্পর ডিঙাই ধ্রুবপদী ঘূর্ণি
দুটি চেতনা ভূ- মণ্ডলে পথের পর পথে
কিছু শৈশব কাটে
অম্লান সুখে লুটোপুটি ফুল ফুটে
সুবাস বিলায় হাড়ের গ্রহ থেকে উপগ্রহে
পিপাসার দাগে উজ্জয়িনী পৃথিবী
পুষ্পের ভেতরে কাজল পরায় অঙ্গের পর অঙ্গ।

ছবি মানুষ

নাসিমা হক মুক্তা

খুব ইচ্ছে করে জীবন থেকে
একটি বয়স চুরি করে
ক্ষিপ্ত হওয়া মানুষ কলরবে হাঁটু মুড়ে বসে
মানুষের কথা বলবো, মনুষ্যত্বের কথা বলবো
বুকটা কোথাও যেন অপরিপূর্ণ
মানুষের ভিড়ে মানুষ বড়ই একা ;
চোখ ঘুরালেই চোখের ভেতরে শিশু নাবাল
শব্দহীন অসীম শূন্যতায় মিলে প্রাণবায়ু
নিজেকে জাগাতে পারে না
তার বেদীমূলে মানুষ ঈশ্বর এখন অলীক ছবি
‘আজ বলার মানুষ আছে, শোনার মানুষ নেই
আজ খাওয়ার মানুষ আছে, দেওয়ার মানুষ নেই’
বড় অসুখ করেছে মুখরিত জীবনে
উপকূলে পরাকাষ্ঠা ঘর
মানুষের আনন্দটুকু গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়ে
নদীতে মিলেছে, তাদের উপদ্রবে জলও শব্দ করে না
জোয়ার নামক নিয়মটি ভাটার গতরে ডুবে
প্লাবিত মানুষ এখন ডুবা, নালা, বন্যা ;
অমানবিক ছোঁয়ালে রেওয়াজ করে জীবন
“এখন মোম, আগুনের পাশে গলে না
এরই সাথে জল ও তল দু’টোর বিরাট ফারাক। ”
কতটা নগ্ন হলে মানুষ
শুধুই ছবি মানুষ হয়ে মানুষকে ভুলে যায়?

Advertisement
উৎসNasima Akter Mukta Mukta
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে দুবাই প্রিমিয়াম ক্রিকেট লীগের ফাইনাল অনুষ্টিত
পরবর্তী নিবন্ধবাগাতিপাড়ায় নামাজরত অবস্থায় মুসুল্লির মৃত্যু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে