শুধু উৎসবই না
কবি অসিত কর্মকার
আসলে দীপাবলি মানে
দীপ জ্বালিয়ে শুধুই ঘর আলোকিত করা না
কার্তিকের অমানিশাতে দীপ জ্বালানোর উদ্দেশ্যই হলো
জাগতিক অন্ধকার যোনীপথকে আলোকিত করা।
সূর্য যেভাবে অন্ধকার ভেদ করে
সারা পৃথিবীকে আলোকিত করে,তেমনই দীপ জ্বেলে মানুষের মনেরও সংকীর্ণতা দূর করা,
সংকীর্ণতাও তো আঁধারই এক-
দীপাবলি এক উৎসবই না
সারা পৃথিবীর গাঢ় থেকে গাঢ়তম আঁধারের বিপরীতে
এক দীপ্তিমান আগুনের কণা।
০৪-১১-২০২১ ইং
থাকতো যদি ডানা
কবি অসিত কর্মকার
পাঁচাঙুলে হাত বাদে দুইপা পাখিরও আছে,
শ্রেষ্ঠ জীবের আছে হাত-পা, নেই পালকযুক্ত পাখনা
তা যদি থাকত,তবে কি মানতো সীমানা?
ডানা মেলে উড়ে যেত ঊষর মরুতে
ডান হাতে বৃক্ষের বীজ নিয়ে বাম হাতে জলভর্তি ঝারি
পুঁতে দিত ঊষর মরুতে বীজ সারি সারি।
১১-১১-২০১৯ ইং
যা নয় নিবার্য
কবি অসিত কর্মকার
কে আছে যে রুখবে ওদের,
কে আছে যে বুঝাবে কোনটা নিবার্য আর
কোনটাই বা অনিবার্য?
বাঙালির সংগীতে ছন্দপতন
আজ রাজনীতি কাঁদে বাঙলার ঘরে ঘরে;
দিবস-রজনী ধর্মের সুরে সুরে!
যা নয় নিবার্য!
১২-১১-২০১৮ ইং
সুর
কবি অসিত কর্মকার
কোন্ জন্মে শুরু
খোঁড়াখুঁড়ি হয়নিকো শেষ,প্রতিটা সরষেতেই দেখি
রয়ে গেছে অপার্থিব রেশ –
গণতন্ত্র হোক বা একনায়কতন্ত্র-
বাঁশ ফুটো করলেই বাঁশি
প্রকাশ ভঙ্গিমা যেমনই হোক
সুর তো বের হয় এক-ই…
১৬-১১-২০২১ ইং
সাফ সাফ বলছি
কবি অসিত কর্মকার
আমার মুখ থেকে
সব কথাই শুনতে চাইবেন না
শুনলে হয়তো
সরকারে মিশে থাকা প্রয়াত শাসকের চামচার শরীরে
বৃষস্কন্ধের লোগো সাঁটা কোর্টের গল্প অথবা
রাষ্ট্র চাটাদের অপকীর্তির কাহিনী জেনে যাবেন,তখন
আপনাদের মনের ভিতরে জমানো খণ্ড খণ্ড মেঘ
একত্রে বজ্রমূর্তি ধারণ করে
হয়তোবা রুলিং পার্টির উপরে ঝেড়ে দিবেন,তাই
আমার মুখ থেকে
কোনো কথাই শুনতে চাইবেন না আর
১৯-১১-২০২১ ইং
বোঝাচ্ছিল বুঝলাম
কবি অসিত কর্মকার
জ-জ- জ– জ-ই — বাংলা চিৎকারে
পাড়ার ভিতর দিয়ে ক’টা কিম্ভুতকিমাকার মাল
দৌড়াতে দৌড়াতে বডিল্যাংগুয়েজে বোঝাচ্ছিল যে- আমরা-ই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক!
আর আমি মুহূর্তেই বুঝে গেলাম
এই সব আদর্শ সৈনিকের বাপেরাই গণ্ডগোলের বছরে
লুটের মাল ঘরে তুলতে ব্যস্ত ছিলো!
০৪-১১-২০২১ ইং