নাটোরের বনলতা সেন

0
148

ভাস্কর বাগচী : ১৯৪২ সালে কবি জীবনানন্দ দাশ মাত্র ১৬ পৃষ্ঠার একটি কাব্যগ্রন্থ বের করেন। কাব্যগ্রন্থটির নাম ছিল বনলতা সেন। এই কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতার নাম বনলতা সেন!

টয় নগরীর যেমন হেলেন! নাটোর শহরের তেমনি বনলতা সেন! বনলতা সেন কে ছিলেন! এ নিয়ে বিস্তর রহস্য থাকলেও আজও পর্যন্ত তাহা উদ্ধার হয় নাই! এ বিষয়ে নানা মুনীর নানা মত! তবে এ কথা ঠিক তিনি কল্পনা সুন্দরী!

তবে নাটোর নামটি বনলতা সেন এর আগে যুক্ত করে দিয়ে, কবি তার কল্পনা সুন্দরী কে আরো রহস্যময় করে তুলেছেন! কবি কখনো নাটোরে এসেছেন কিনা! সেই নিয়ে মতভেদ থাকলেও !

সাহিত্যের সুবাদে কলকাতায় নাটোরের দুই রাজ পরিবারের সাথে তার যে একটা যোগাযোগ ছিল একথার প্রমাণ পাওয়া যায়! কবিতায় বনলতা সেন প্রশান্তির বিমূর্ত প্রতীক!

হাজার বছরে পথ ক্লান্ত কবি বনলতা সেনের মুখোমুখি হয়ে দু’দণ্ড শান্তির অন্বেষণ করেছেন! রূপে বনলতা সেন প্রাচীন ভারতের শ্রাবস্তি নগরীর সৌন্দর্যের সাথে সমতুল্য!

পৃথিবীর ইতিহাসে কোন কবি তার কাব্য সুন্দরী কে কোন নগরীর সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করেছেন তা এই প্রথম লক্ষ্য করা যায় এই কবিতায়! নারীর কেশ পুরুষের কাছে অপার এক সৌন্দর্যের বিষয়!

কবি এখানেও তার কল্পনা সুন্দরীর ঘন কালো কেশকে, প্রাচীন ভারতের বিশৃংখলতা ময় এক নগরী বিদিশার আর্তনাদময় রাতের সাথে তুলনা করেছেন! কিন্তু ক্ষণিক জীবন পথের-

একটু প্রশান্তিময় মুহূর্তের ; জন্য সব আয়োজন আকুতি আত্মসমর্পণ বনলতা সেন এর কাছে! বনলতা সেনই একমাত্র মুক্তিদাতা পরম আশ্রয়স্থল! জীবনের আনন্দযজ্ঞের একমাত্র ইষ্ট দেবী!

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধএকুশের ডায়েরি -বিপ্লব কুমার পাল -পর্ব-০২
পরবর্তী নিবন্ধএকুশের ডায়েরি -বিপ্লব কুমার পাল -পর্ব ০৩

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে