নাটোরের দুটি সুগার মিলে আখের টাকা পাচ্ছেন না প্রায় ২৫ হাজার আখ চাষি

0
1429
Sugarmill

নাটোরকন্ঠ রির্পোট:

করোনা দুর্যোগে যখন সারাদেশের মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে,ঠিক তখনই নাটোরের আখ চাষীরা পাওনা টাকার জন্য ধর্না দিচ্ছেন নাটোরর সুগার মিলের গেটে গেটে। সংকট কালীন সময়ে একদিকে পরিবারের ব্যয়,অন্যদিকে লেবারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেননাটোরের দুই সুগার মিলের প্রায় ২৫ হাজার আখ চাষি

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার হাটগোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক ইসহাক খন্দকার, নাটোর সুগারমিলে আখ বিক্রি করে পাওনা টাকা না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। একদিকে পরিবারের ব্যয়,অন্যদিকে আখ জমি পরিচর্যাসহ লেবারের টাকা দিতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম। একদিকে টাকা পয়সার অভাব অন্যদিকে আখের জমি পরিচর্যা ও সার কিটনাশক প্রয়োগ করতে পারছেন না তিনিও।

শুধু এই দুজনই নয়। জেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল ও নাটোর সুগার মিল ২ চিনি কলের প্রায় সকল আখ চাষীই আখ বিক্রয়ের পাওনা টাকা পাননি। বিশেষ করে পরিবারের খরচ আর সুগার মিলে আখ বিক্রয়ের সময় যে লেবার দিয়ে আখ কাটা হয়েছিল তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।একদিকে করোনা আতঙ্কে চাষিরা যখন ঘর বন্দী অন্যদিকে নতুন আখের পরিচর্যা সহ সার কীটনাশক ব্যবহার না করতে পারলে পরের বছর আখ চাষে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের।পাওনা টাকার জন্য বারবার মিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও ফোন ধরেন না ।তবে দুইটি সুগার মিল কতৃপক্ষই শেনাতে পারেনি আশার বাণী।কবে নাগাদ টাকা দিতে পারবেন তার কোন সদউত্তর নেই তাদের কাছে। তারাও চেয়ে আছেন সরকারের মুখের দিকে।

নাটোর সুগার মিলের এজিম(কৃষি) রুস্তম আলী নাটোর জানান, নাটোর সুগার মিল প্রায় ১লক্ষ৭০ হাজার মেট্রিকটন আখ ক্রয় করেছে যার মূল্য৫৭কোটি টাকা।এর মধ্যে এখোন কৃষকদের পাওয় আছে প্রায়২৭কাটি টাকা।আর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানলয়ে অর্থের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অর্থ ছাড় বা বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কৃষকদের পাওনাপরিশোষ করা হবে।

অপরদিকে নাটোর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের এমডি আব্দুল কাদের জানান, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন আখ ক্রয় করেছে,যার মূল্য সাড়ে ৮২কোটি টাকা। আর প্রায়৩৮কোটি টাকা এখনো কৃষকদের পাওনা আছে। চিনি বিক্রি করে আপাতত কৃষকদের পাওনা মেটানোর চেষ্টা চলছে তবে তিনিও নাটোরে সুগার মিলের মতো একই সুরে বলেন অর্থের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অর্থ ছাড় বা বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কৃষকদের পাওনাপরিশোষ করা হবে।

লকডাউনে কৃষকদের কাজ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। সংশ্ষ্টিরা মনে করেন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে তাই তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধের দাবি জানান।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধলালপুরে সড়ক দূর্ঘটানায় পাওয়ার ট্রলি চালকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমেঘ বালিকা -কবি চিন্ময় সরকার‘এর কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে