গুরুদাসপুরের চলনবিল ধান কাটা আমেজ শুরু

0
286
Paddy
সন্দীপ কুমার গুরুদাসপুর:
চলনবিলের দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। মাঠজুড়েই দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। ধানের আশাতিত ফলনে কৃষকের আনন্দের যেন শেষ নেই। তবে এই ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে ছিল শঙ্কা। সেই শঙ্কা দূর করে নির্বিঘেধান কাটতে কৃষক-শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়েছে গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের সহযোগীতায় কৃষকদের ধানকাটতে স্থানীয় ভাবে প্রশিক্ষণ তৈরী করা হয়েছে শ্রমিক। শুধু যে শ্রমিক সংকট দূর করতেই এপদক্ষেপ তা নয়। কৃষকের ধান গোলায় তুলতে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও অর্থায়নে নানা প্রদক্ষেপও নিয়েছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- উপজেলার বিলশা, রুহাই,বিলহরিবাড়ী,খুবজীপুর ও পিঁপলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা রয়েছে। এসব এলাকার বিলগুলোতে বেশি ধান চাষ করা হয়েছে। সময় মতো ধান কাটতে না পারলে বৃষ্টিপাত-আগাম বন্যা দেখা দিলে এসব বিলের ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে কৃষকদের। তাই নীচু এসব বিলের ধান দ্রæত কাটতে স্থানীয়সহ বহিরাগত কয়েক হাজার শ্রমিক আনা হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম জানান- চলতি মওসুমে গুরুদাসপুরের শুধু নীচু বিলগুলোতেই ৪হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। নির্বিঘেœ ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে গুরুদাসপুর উপজেলা এলাকার কৃষকদের খাদ্যে কোন সমস্যা থাকবে না। এসব বিষয় বিবেচনায় শ্রমিকের পাশাপাশি কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এসব শ্রমিকদের ধানকাটার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। মনোনীত এসব শ্রমকিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষিত শ্রমিকদের মধ্যে অনেককে হাওড়সহ দেশের আটটি জেলায় ধান কাটার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধহ্যাপি নাটোর রমজানের তৃতীয় দিনে শিশুদের হাতে ইফতার তুলে দিলো
পরবর্তী নিবন্ধঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন-প্রতিমন্ত্রী পলক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে