করোনায় বাঙালির কান্ড
সজিবুল ইসলাম পান্না
কি বলবো দেশের কথা
করোনা নামক ভাইরাস সবার নষ্ট করেছে মাথা।
এই ভাইরাস ছড়ায় নাকি লোক সমাগম হলে
তবুও সবাই হাট বাজারে যাচ্ছে দলে দলে।
জনসমাগম ঠেকাতে সরকার করেছে লকডাউন
হাট বাজার মসজিদ মোড় গ্রামগঞ্জ ও টাউন।
তবুও দেখি হাট বাজারে লোকের সমাগম
শুধু মাত্র মসজিদেতে মুসল্লিরা কম।
যত আইন মসজিদের উপর হাট বাজার সব খোলা
অপ্রয়োজনে ঘুরছে সবাই যায় না তো কিছু বলা।
বাহিরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন ডাক্তার গবেষক
করছে ব্যবহার দাড়িতে ঝুলিয়ে না ঢেকে নাক মুখ।
তারাও কিন্তু সচেতন নাগরিক, কিভাবে এলো করোনা
চায়ের স্টলে বসে বসে সবাই করছে এ গবেষণা।
চায়ের কাপে ঝড় তুলে তারা করছে আলাপচারি
যেভাবেই হোক রুখবো মোরা করোনা মহামারি।
অন্য দিকে সরকার দিয়েছে গরিবের মাঝে ত্রাণ
সেই সকল ত্রাণ পৌছাতে নেতারা বাড়ি বাড়ি নাহি যান।
ডাকিয়া তাদের একত্রিত করে দিচ্ছে হাতে ত্রাণ
দেওয়া শেষ হলে নেতারা বলছে একটু ভাই দাড়ান।
ফটো সেশন করছে তারা দুরুত্ব বজায় রেখে
বাস্তবে কিন্তু তা নয় সবে, রয়েছে গা ঘেষে ঘেষে।
কৃষক পড়েছে করোনার পাকে ফসল নিয়ে ফ্যারে
ধান কাটার লোক না পেলে কাটবে কেমন করে।
বাঁচাও কৃষক এই স্লোগানে নেমেছে একদল মাঠে
কাস্তে নিয়ে যে যার মত দু একমুঠ ধান কাটে।
ধান কাটা তাদের যেমন তেমন ছবি তোলা হলো সার
ছবি তোলা শেষ হলেই তাদের খুজেপাওয়া যায় না আর
কৃষক বেটা রেগে গিয়ে বলে এটা কি কিছু হলো?
ফসল কাটার নামে তারা আমার পাকা ধানে মই দিলো।
ফসল কাটা যেনো তেনো নয় দক্ষ লোকের কাজ
নাদানেরা এসে সর্বনাশ করে দিয়ে গেলো সবি আজ।
এখন লাগবে আরো দুই কামলা গুছাতে জমির ধান
মনটা বলছে ওই সালাদের মলে দেই দুই কান।
এমনি ভাবে করছি উপকার দিচ্ছি উপদেশ
ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে রাখুন দেশ।