আজ ৫ মে, নাটোরের গোপালপুর বাজার ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল গণহত্যা দিবস

0
704
শহীদ সাগর

নাটোরকন্ঠ: আজ ৫ মে নাটোরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের গণহত্যা দিবস। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া ও সহযোগিতাদানের জন্য ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মিলের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আনোয়ারুল আজিমসহ ৪২ জনকে হত্যা করে। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজকের দিনেই বর্রর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গোপালপুর বাজার এলাকাতেও হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ দিন গোপালপুর বাজারে নেতা ডাঃশাহাদত হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন,সাজদার রহমান,আবুল হোসেন,আশরাফ আলী,বক্স খলিফা এবং রফিকুল ইসলাম চাঁদকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

পরে মিলে কর্মরত অবস্থায় মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট আনোয়ারুল আজিমসহ প্রায় ৪৫/৪৬ জন শ্রমিক কর্মচারীকে ধরে মিল চত্বরের গোপাল পুকুরপাড়ে নিয়ে যায় হানাদাররা। প্রথমে গুলি ও পরে বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে গোলাপ পুকুরপাড়ে ফেলে রেখে যায়। হানাদারদের বর্বরতায় শহীদ হন ৪২ জন। এই নৃশংস ও নারকীয় হত্যাকান্ড থেকে বেঁচে যান ৩/৪জন। শহীদদের রক্তে গোপাল পুকুরের পানি লাল হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর গোপাল পুকুরের নামকরন করা হয় ‘শহীদ সাগর’। গোপালপুর রেল ষ্টেশনের নামকরন করা হয় আজিম নগর রেল স্টেশন । ওই গোপাল পুকুর পাড়েই (বর্তমানে শহীদ সাগর) গড়ে তোলা হয়েছে শহীদদের স্মরনে স্মৃতিস্তম্ভ এবং একটি যাদুঘর। আর বাজার এলাকায় শহীদদের স্মরণে গোপালপুর বাজারে নির্মান করা হয় স্মরণ সৌধ।

স্থানীয়রা ও মিল কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ৫ মে দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করে।প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটির স্বরনে আয়োজন করার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাব জনিত কারনে ঘরোয়াভাবে পালন করা হচ্ছে।

স্বাধীনতার ৪০ বছরেও এই গণহত্যার রাষ্ট্রীয় কোন স্বীকৃতি মেলেনি। এমনকি এসব শহীদ পরিবারের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা। শহীদ পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ জননেতা হানিফ আলী শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী, নাটোরকন্ঠ পরিবারের শ্রদ্ধা
পরবর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৩’শ১৫টি পরিবার পেলো এমপি আব্দুল কুদ্দুসের উপহার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে