কাব্য আর কথা। দু’ভাই-বোন, আজ ওদের জন্মদিন, নাটোরকন্ঠ পরিবারের শুভেচ্ছা

0
658
hi

আমেরিকা প্রবাসী কবি বেনজির শিকদার ও নাসির শিকদার এর পুত্র ও কণ্যা  কাব্য আর কথা। দু’ভাই-বোন, আজ ওদের জন্মদিন, আজকের এই দিনে নাটোরকন্ঠ পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণভরা শুভেচ্ছা। আমরা বিশ্বাস করি দু’ভাই-বোন একদিন অনেক বড় হবে। আমাদের স্বপ্নের থেকেও বড়। ওরা আলোকিত মানুষ হবে, সে আলোয় আলোকিত হবে সমাজ দেশ। আজকের জন্মদিন সম্পর্কে বেনজির শিকদার তার ফেসবুক ওয়ালে যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে তুলে দেওয়া হলো

কাব্য আর কথা। দু’ভাই-বোন। আজ ওদের জন্মদিন!
ওরা কিন্তু জমজ নয়; একে অন্যের চেয়ে বয়সে চার বছরের ছোটো-বড়ো। যিনি ওই উপর থেকে জন্ম-মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করেন কিংবা যার অপার মহিমায় সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার আগেই মায়ের বুকে সেই সন্তানের খাবার চলে আসে, সেই মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমাদের ‘জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার’ দু’জনের জন্মদিন এই একইদিনে!

নিউইয়র্কের আকাশটা আজ বড় বেশি ঝকঝকে নয়, শুভ্র! তবুও যেন প্রথম দেখাতেই প্রেম হয়ে যাবে! এমন দিনে ঘরে থাকা দায়; অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে অজানাকে জানতে, অচেনাকে চিনতে আর অদেখাকে দেখতে চৌকাঠ মাড়িয়ে অবশ্যই বাইরে পা ফেলা উচিত।

কিন্তু না, এখন পৃথিবীর গভীর অসুখ। যে শহরটাতে ঘড়ির কাটায় জীবন চলতো, সকাল হতে সন্ধ্যা অবধি প্রায় প্রতিটি মানুষকেই যেখানে মৌমাছি-তাড়া হয়ে ছুটতে হতো, সেই শহরটা আজ শিথিলতার চাদরে মোড়ানো, জুবুথুবু, অসার!

একদিকে শহরের উষ্ণতম এ সকাল, বুকের আঁজলে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে চিঠি লিখা রোদ্দুর, হিমেল বাতাসে পাখোয়াজ তানপুরা আর ভালোলাগানিয়া বিশ্বাস, অপরদিকে কিছুসময় পরপর আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করে এম্বুলেন্সের করুণ চিৎকার। তবুও সকলকিছু উপেক্ষা করে গৃহালয়ে কাজের ফাঁকে ফাঁকে মনের খাঁজে ডুব দিয়ে থাকা অতীতের স্মৃতিগুলো যেন আকাশনীলে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে বারংবার।

হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে ছেলেটা আজ ‘পনেরো’তে পদার্পণ করলো আর মেয়েটা ‘এগার’! সবকিছুই যেন স্বপ্নের মতো ! বলতে গেলে এইতো সেদিন…ওদের পেটে নিয়ে হেঁটে বেড়ালাম, শপিংমল ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করলাম এবংকি দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ানোসহ চেকাপের জন্য বারবার স্মরণাপন্ন হলাম ডাক্তারের। মোটকথা সংসারের যাবতীয় কাজই ছিলো নখদর্পনে। কিন্তু আজ সেসব অতীত ! সময় বোধকরি এভাবেই বয়ে যায়…! তার উপর কখনোই কারো নিয়ন্ত্রণ চলে না।

ভোরের আকাশে সূর্যের সাক্ষাৎ বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে! এক উজ্জ্বল আলোকিত সকালে, পুবাকাশে ঝিলিক দিয়ে ওঠা রক্তবর্ণ সূর্যরশ্মির কিরণে চারপাশ যখন ঝলমলে, হালকা শীত আর কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতির মুখে হাসি ফুটিয়ে…হ্যা, আজকের এই দিনে; আমাদের কোলকে আলোকিত করে সুতীব্র চিৎকারের মাধ্যমে (কাব্য বাংলাদেশে আর কথা আমেরিকায়) তাদের আগমনবার্তার জানান দিয়েছিল।

সেই থেকেই শুরু…

প্রতিদিনের চলার ফাঁকে মনে মনে ভাবি…বিজাতীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠছে ওরা, মা ও বন্ধু হিসেবে শুধু চাই, বড় হতে হতে ওরা যেন আমার সংস্কৃতির রূপরেখাও আয়ত্ত করতে শেখে। যাই করুক, ওদের দেখা ছোটো-ছোটো স্বপ্নগুলো পূর্ণতাকে স্পর্শ করতে করতে, সর্বোপরি পৃথিবীকে ঋণী করার মতো একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠে।

(গতবছর এইদিনে মেয়েটা বাবার হাত ধরে আমার কাজের জায়গায় গিয়ে হাজির! কেন এসেছো জানতে চাইতেই ঝটপট উত্তর… “Mami… you know that today is my day!” তোমাকে হাগ্ দিবো এরপর পাপাকে নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাইরে ঘুরবো আর অনেক…অনেক কিছু কিনবো যা আমার ইচ্ছে !) আর আজ…!

পৃথিবী সেরে উঠুক। বড় হতে হতে সুন্দর সে পৃথিবীতে ভালো থাকতে শিখে যাক ওরা, একান্তই ওদের নিজেদের মতো করে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনলডাঙ্গায় আরো দুই মাদক ব্যবসায়ী ৬ মাসের কারাদন্ড
পরবর্তী নিবন্ধসিংড়ায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের নারায়ণগঞ্জ মোকাম করার অভিযোগ, করোনা বিস্তারের শঙ্কা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে