গুল্মলতার কাছে লেখা, বেনুবর্ণা অধিকারী‘র চিঠি

0
577
বেণুবর্ণা অধিকারী

প্রিয় গুল্মলতা,
তুমি কি জান শুধু তোমাদের সঙ্গলিপ্সু আমি ছুটে যেতে পারি সব ভয় উপেক্ষা করে নির্দ্বিধায়! জীবন যখন অনর্থক থেমে যায় গৃহকোনে তখন কিছু জীবন জীবন্মৃত বেঁচে থাকতে পারে না, সে ছোটে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে, এবং উত্তর-দক্ষিন-পূর্ব-পশ্চিম-ইশান-বায়ূ-অগ্নি-নৈঋতে। হোক সেটা কল্পজগতে বা বাস্তবে।

তাইতো আমি মুখোশ পড়েই ছুটে গিয়েছি তোমাদের কাছে৷ তোমরা তোমাদের ফুল-ফল আর সবুজ পাতা নেড়ে যেভাবে বরণ করে নিলে আমি অসম্ভব মুগ্ধ হয়েছি। মনে হয়েছিল কেন এ সময় আমিও তোমাদের মত গুল্মজীবনে ঢুকে গেলাম না? তাইলে তো অন্তত গৃহবন্দী জীবনটা যাপন করতাম না।

আমি অনেকটা সবুজ গায়ে মেখে হেঁটে এসেছি পাঁচ মাইল নব উদ্যোমে৷ যে প্রকৃতির টানে আমি ছুটে গেছি বারবার সেখানে আজ তৈরি হচ্ছে বিশাল স্থাপনা, প্রতিটি গাছ যখন কাটছিল মনে হচ্ছিল বুকের পাঁজরের একেক হাড় ভেঙ্গে ফেলছে আমার। কত গাছের নির্মম মৃত্যুর সাক্ষী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আমি সাক্ষীগোপাল।

কাল সেখানে নতুন স্থাপনা দেখে প্রানে স্পন্দন উদ্বেলিত হয়নি, আমার বৃক্ষবন্ধুদের কান্না ধ্বণিত হয় মুহুর্মুহু। এরই ফাঁকে তোমরা এখনো কিছুটা টিকে আছ আর সগৌরবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছ এটাই রক্ষে। ভাল থেক বন্ধুরা এভাবেই।
ইতি-
                                          তোমাদের বন্ধু

Advertisement
উৎসবেণুবর্ণা অধিকারী
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে দুই চোরকে আটক করে পুলিশে দিলো জনতা, চোরাই মালামাল উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধআমার ভুল হচ্ছে- কবি বিপুল অধিকারী’র কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে