“অবুঝ গ্রাম”
কবি শাহিনা খাতুন
সে এক আজব গ্রাম
সেখানে লেখাপড়া গান-বাজনা খেলাধুলা
এসব এখনও ফোর্থ সাবজেক্ট
বয়স দশ বার হলেই বিয়ের ধুম লাগে
না হলে সব পাপীষ্ঠ পাপিষ্ঠা হবে
নানীর নানি দাদীর দাদি আছে সেখানে
আমি শুধিয়েছিলাম কি বলে এসব সম্পর্ককে
বপু এ আবার কেমন কথা
তুমি জানো না?
ঝুনা নানী ঝুনা দাদী
আপনি বলে সম্বোধন করতে জানেনা কেউ
তবে এটা অবশ্য কারও মন্দ লাগবে না
গ্রামের মধ্যে গ্রাম
দেশের মধ্যে দেশ
দশে মিলে কাউকে ঠকালে সেটা বাহবা পায়
পাপ পুণ্যের হিসাবটা একটু আলাদা
আমি অবশ্য স্বপ্ন দেখেছিলাম
একটা যাদুর কাঠি খুঁজবো
তারপর পরশ বুলিয়ে সবুজে সবুজে ভরে দেবো সেই গাঁ
গ্রামের একটা নাম দেবো
কি নাম জানো ? অমরাবতী
ভেঙেচুরে সোজা লাইন করে
গ্রামখানি সাজাবো
আমার সাজানো-গুছানো অমরাবতী গ্রাম
পথের ধারে আমি একটা বাঁশী খুঁজে পেয়েছিলাম
আমি ফুঁ দিতেই বুঝলাম
এ যে কোন সে বাঁশী নয়, যাদুর বাঁশী
আমার বাঁশীর সুরে গ্রামজুড়ে আনন্দের বান
একটা শঙ্খচিল এসে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল গ্রামখানি
অবুজ গ্রামখানি