করোনাকালের কবিতা-১
অশ্বখুর
জুনান নাশিত
সবুজ রূপান্তরের রূপকথার গল্পে নেই কোন অশ্বখুরের ডাক!
মেহগণি সভ্যতার দিনে আবলুসী ভাবনাগুলো রেললাইনের কিনার ধরে
গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেছে ওই দূর তেপান্তর ছাড়িয়ে
অথচ কোন একদিন ছাপাখানার মোড়ে ঈশপের চোখের জল আর ইছামতী নদীর ভেঙে পড়ার কাহিনীগুলো ভীষণ জ্বলজ্বলে ছিল
ঠিক আজকের মতো, শারিরীক দূরত্বের এই দিনে
ইমোজির শেষ চিহ্নে যখন দীর্ঘশ্বাসের কলোরল
ইচ্ছেঘুড়ির সুতোর ডাকে ছিন্নভিন্ন দৃষ্টিসীমার বৈভব
তখন বিছানায় লেপ্টে থাকা কোন এক বুকের ঘুঙুর দশদিগন্ত মাড়িয়ে
ঠাঁই নিল ব্যালকনির ছায়াভেজা নিরেট রোদ্দুরে।
একদিন রোদ্দুরের ওড়াউড়ি দেখে
পাখিরাও হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছে গেলো সূর্যের ঠিকানায়
ঠিক যেমন কোয়ারেন্টিন ভাঙা অশ্বখুরের ডাকে লাভার উদগীরণও
থেকে থেকে দিক বদলায়!
সবুজ রূপান্তরের রূপকথার গল্পে
তাই নিঃশব্দ নদীও তার জানালা খুলে দেয়
কান পাতে, ভাবে, এইবুঝি ভেসে এল অশ্বখুরের ডাক
সমুদ্র মোহনায় নিজেকে বিলিয়ে দেবে সেও
শারিরীক দূরতের সীমা ভেঙে ভেসে যাবে উজানি ভাটির খরতর দাঙ্গায়।