নাটোর কন্ঠ ডেস্ক রিপোট : অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হল ‘স্মরণে ও চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক জাতীয় শোক দিবস এবং বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীর বিশেষ স্মরণসভা।
১৫ আগস্ট ২০২০, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে যথাযথ ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে এবারও পালিত হল ‘স্মরণে ও চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক জাতীয় শোক দিবস এবং বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের-এর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীর বিশেষ স্মরণসভা। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারিতে কুইন্সল্যান্ড সরকারের বিধিনিষেধমালার কারণে এবারের আয়োজন ছিল ভিন্নধর্মী।
ব্রিসবেন থেকে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জনাব ফরহাদ কামাল জানান, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপক্ষের প্রবাসী সংগঠন ‘আমরা ক’জন’ এবার আয়োজন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘জুম’ এবং ‘ফেসবুক’ লাইভ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বাংলার হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তর প্রেরণার উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের-এর মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক পর্ব।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘জুম’ ও ‘ফেসবুক’ লাইভে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন অঙ্গরাজ্য ছাড়াও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যসহ বিশ্বের সকল মুজিব ভক্তবৃন্দের সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হয়েছিলেন:
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” একুশের অমর গানের স্রষ্টা, আজীবন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বলিষ্ঠ কলম যোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জনাব আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু বিষয়ক আর্কাইভ বা জীবন্ত তথ্য ভাণ্ডার হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট-এর মাননীয় মহাপরিচালক জনাব জাফর ওয়াজেদ। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ রাজনীতি গবেষক ইতিহাসবিদ প্রফেসর আবুল কাশেম। অনুসন্ধানী গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা ১৯৭১ জেনোসাইড আর্কাইভ, “বঙ্গবন্ধুর নীতি নৈতিকতা” এবং “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ নির্মাণ” বই দুইটির রচয়িতা জনাব হাসান মোর্শেদ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর সম্পাদক এবং বিশিষ্ট আবৃত্তিকার জনাব হাসান আরিফ। বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী প্রফেসর লিলি ইসলাম। বিশিষ্ট শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, টিভি উপস্থাপক এবং রেডিও জকি জনাব নির্ঝর চৌধুরী।প্রথম পর্যায়ে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের তথ্যবহুল আলোচনা পর্বটি সাজানো হয়েছিল: ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৭ – প্রফেসর আবুল কাশেম।
১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ – জনাব জাফর ওয়াজেদ। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ – জনাব হাসান মোর্শেদ। ১৯৭১ থেকে বর্তমান – জনাব আব্দুল গাফফার চৌধুরী। দ্বিতীয় পর্যায়ে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের সাংস্কৃতিক পর্বটি সাজানো হয়েছিল: কবিতা আবৃত্তি – জনাব হাসান আরিফ। সংগীত পরিবেশনা – প্রফেসর লিলি ইসলাম। সংগীত পরিবেশনা – জনাব নির্ঝর চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির সমাপনী বক্তব্য রাখেন ‘আমরা ক’জন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. মুহাম্মদ আলাউদ্দিন।
পুরো অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন পর্বে ছিলেন ‘আমরা ক’জন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জনাব লাইলাক শহীদ। অনুষ্ঠানটির সার্বিক কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন ‘আমরা ক’জন’-এর সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জনাব ফরহাদ কামাল, জনাব অনুপ সরকার এবং জ্যোতিষ দাস। এছাড়াও ‘জুম’ সামাজিক মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছিলেন ‘আমরা ক’জন’-এর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে ড. তপন সাহা, ড. শামসুল আরেফীন এবং ড. মুহাম্মদ জে এ সিদ্দিকী শামীম।