গুরুদাসপুরে জাল সনদে অধ্যক্ষসহ ৫ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

0
571

গুরুদাসপুরে জাল সনদে অধ্যক্ষসহ ৫ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

গুরুদাসপুর সংবাদদাতা, নাটোর কণ্ঠ:
নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার একটি কলেজে জালসনদে অধ্যক্ষসহ মোট পাঁচজন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এমপি। সরদার কাজিমুদ্দিন টেকনিক্যোল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এ গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুস। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের মাস্টার্স সনদ জাল বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে। এদিকে এমপির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।

এমপি অভিযোগে বলা হয়েছে, গুরুদাশপুর উপজেলার সরদার কাজিমুদ্দিন টেকনিক্যোল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এস এম আবুল কালাম আজাদের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্সের সনদটি জাল। প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়ার ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগে জানানো হয়।

প্রতিষ্ঠানটির আরও চারজন শিক্ষক-কর্মচারীর জালসনদে নিয়োগ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন এমপি আব্দুল কুদ্দুস। অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সহাকারী লাইব্রেরিয়ান মো. সাইফুল ইসলামের লাইব্রেরিয়ান সার্টিফিকেটটি জাল। বাংলার প্রভাষক নরুন্নাহারের মাস্টার্স সার্টিফিকেটও ভুয়া বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়া ল্যাব অ্যাসিসিটেন্ট সুফিয়া খাতুনের ল্যাব সার্টিফিকেট জাল এবং কম্পিউটার অপারেশন বিষয়ের প্রভাষক এস এম সাইফুল ইসলামের সার্টিফিকেটেও সমস্যা আছে বলে অভিযোগে জানানো হয়। অভিযোগটি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছিলেন সংসদ সদস্য।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে অধিদপ্তর সংসদ সদস্যের অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত শুরু করেছে। তবে, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন রয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে স্থগিতাদেশ বহাল আছে। তাই, তার বিরুদ্ধে তদন্তের সুযোগ নেই বলেও জানা গেছে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রাম পৌর যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন
পরবর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামে হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে