সন্দীপ কুমার, গুরুদাসপুর:
“স্বপ্ন” মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরনা যোগায়। স্বপ্ন কম-বেশি সকলেই দেখে। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছে যাদের জীবনে স্বপ্নেরদ্বার যেন অধরাই-ই থেকে যায়। সেই সব অবহেলিত মানুষদের স্বপ্নের দার উম্মচন করতেই কল্লোল ফাউন্ডেশন আয়োজন করেছে বিভিন্ন কার্যক্রমের। ২০১২ সালের মাঘ মাস, প্রচন্ড শীতে জরোসরো অবস্থায় বসে আছে একদল মানুষ। এই অবহেলিত মানুষ গুলোর পড়নে ছেড়াঁ-মলিন কাপড় । চোখে মুখে বয়সের ছাপ। মনে হতাশা আর অপ্রাপ্তির ছায়া। বসে বসে হক্কা টানছে আর জীবনের হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছেন।
এসময় একজন মমতাময়ী এক নারী এসে পাশে বসেন এবং আমাদের জানা অজানা কষ্ট গুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন। সেই নিদারুন কষ্টে গুলো তাকে নাড়া দেয়। এর পর থেকেই শুরু হয় আমাদের নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই। সাধ আর স্বাধ্যের মধ্যেই তিনি চেষ্টা করেন আমাদের কে সকল ধরনের সহযোগিতার। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন আমাদের সকলের প্রিয় মুক্তি, পুরো নাম এ্যাডভোকেট কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি। মুক্তি মহিলা যুব নেতৃত্বের পাশা পাশি গড়ে তুলেছেন কল্লোল ফাউন্ডেশান নামের একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।
সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই তিনি পৌছে দিচ্ছেন সেবা সাধারন মানূষের দোরগড়ায়। গল্পটি এভাবেই ব্যক্ত করলেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের খামারপাথুরিয়া গ্রামের ক্ষুদ্্র নৃ-তাত্বিক গোষ্ঠির প্রবীণ নেতা শ্রী ধনঞ্জয় সরকার (৬৫)। এমন কিছু মানুষ আছে যাদের জীবনে স্বপ্নেরদ্বার যেন অধরাই-ই থেকে যায়। সেই সব অবহেলিত মানুষদের স্বপ্নের দার উম্মচন করতেই কল্লোল ফাউন্ডেশনের ‘স্বপ্নদার’ নামের একটি স্কুলের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে ওই এলাকার অবহেলিত মানুষের অন্ধকার দুর করতে।
মূলত চলনবিলের পিছিয়েপড়া ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির বয়স্ক ও শিশুদের দোরগোড়ায় শিক্ষা পৌঁছে দিতেই স্বেচ্ছা সেবী এই সংগঠনের ব্যাতিক্রমি ওই উদ্যোগ । এখানে শিশুদের পাশাপাশি বয়ষ্কদেরও শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির লোকেরা লেখাপড়া করছেন এই বিদ্যালয়ে। মুলত দেশ, সমাজ তথা বেকার যুব সমাজের কর্ম সংস্থানের কথা মাথায় রেখেই ঘোরোয়া পরিবেশে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটির। ২০১২ সালে দুই থানা ব্যাপি শুরু হয় এর কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানের মুল নেতা এ্যাডভোকেট কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি।