ঝরাপাতা
কবি বনশ্রী বড়ুয়া
শতাব্দীর শেষক্ষণ অথবা প্রাগৈতিহাসিক কালের
সমাপ্তিতে তাদের আবার দেখা হয়ে যায়,
কিছুটা প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির সংমিশ্রণ ছিল সেটা,
তারা যখন প্রথম স্পর্শ করে,
যখন আংগুলের পরে আংগুল খেলা করে
তারা ফিরে যায় ভোরের সূর্যোদয়ে
যেন নতুন করে ফের মাখামাখি।
তাদের একজনের হাত যখন ছুঁয়ে যায়
অন্যজনের গণ্ডদেশ অথবা গাল নয়ত চিবুক
সেই ক্ষণে রচিত হয় আরোও একটি মহাকালের,
যার জন্য অপেক্ষা তাদের আজন্ম,,
ভ্যানিলা ল্যাটেট ঠান্ডায় পড়ে থাকে
নাম না জানা রেস্টুরেন্টও ফিরে যায় সেই অতীতে
বাক্সবন্দী কিছু স্মৃতির পাতায়।
তৃষ্ণা বাড়ানো ঠোঁটের স্পর্শে
ঘড়ির কাঁটা হঠাৎ করেই স্তব্দ হয়ে যায়,
তাদের হৃদকম্পনের শব্দে ঝড় উঠে নিভৃতে,
গোটা ভূখণ্ড কেমন নিশ্চুপ হয়ে আড়ি পেতে
শুনতে চাই তাদের কথোপকথন,,,
তারা শুধু চেয়ে থাকে,,,আকণ্ঠ তৃষ্ণার দৃষ্টিতে,
কাজল আঁখির জলে ভরে যায় দীঘি,
কত স্বপের মৃত্যু তারা দেখেছে
কত স্বপ্নের কবর খুঁড়েছে নিজ হাতে,
তারপরও তারা ভালবাসে,
তারপরও তারা কাছে আসে,
শতাব্দীর শেষক্ষণে অথবা-
প্রাগৈতিহাসিক কালের সমাপ্তিতে,,,।
শ্রী,,,