নাটোর কণ্ঠ : রাজশাহী থেকে একদল পর্যটক নাটোরের হালতি বিল ভ্রমণে যাওয়ার পথে দিঘাপতিয়া উত্তরা গণভবনের সামনে ফিটিং শাহীন পর্যটকদের ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে তিনি নিজেই ফেঁসে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পরে জামিনে বেরিয়ে আসবে এমন গুজব জনগণের মুখে মুখে।
এদিকে যে ইয়াবা দিয়ে ফিটিং শাহিন পর্যটকদের ফাঁসাতে গিয়েছিল সেইঁ ইয়াবার কোন সন্ধান মিলছে না । শাহিনের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মামলার মামলার এজাহারে সেই ইয়াবার কোনো উল্লেখ নেই। তাহলে সেই মামলা টিকবে কিভাবে ? প্রশ্ন সচেতন মহলের ও নাটোরের আইন বিশ্লেষকদের।
মামলায় ভুয়া ডিবি পরিচয় বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে কিন্তু সেই ভিডিও ফুটেজ শাহীনকে কোথাও পরিচয় দিতে বলা শোনা যায়নি। এদিকে পর্যটকরা বারবার ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর কথা বললেও থানায় আসতে না আসতে সেই ইয়াবা গেল কোথায়? তবে কি সেই ইয়াবা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে? নাকি শাহিনের নেপথ্য বড় ভাই ইয়াবা সরিয়ে দিতে সহায়তা করেছে? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
তবে পর্যটকরা কিভাবে ইয়াবা ছাড়াই মামলা করল এবং ইয়াবা কেন উদ্ধার করতে পারল না তারা জনমনে সন্দেহ দানা বাঁধছে আইন বিশ্লেষকেরা বলছেন মামলার যে ধারা দেওয়া হয়েছে তা কোর্টে প্রমাণযোগ্য হবে না কারণ কোন মতেই আদালতে প্রমাণ করা সম্ভব হবে না শাহীন প্রশাসনের লোক বা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়েছিল। কারন এ ব্যাপারে কোন তথ্য প্রমান নেই।
এব্যাপারে পুলিশি তদন্ত পারে একমাত্র শাহিনের বিষয়ে খোঁজ খবর করতে। পুলিশি তদন্তই কেবল উঠে আসতে পারে শাহিনের নানাবিধি অপকর্ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ড। পুলিশ যদি এসব তদন্ত সঠিকভাবে না করে তাহলে কোন মতেই এমন অপকর্ম রোধ করা সম্ভব না বলছেন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গেল কোথায় তাহলে কি পর্যটকরা মিথ্যা কথা বলছে নাকি ইয়াবা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে তাহলে কি অচিরেই জামিনে বেরিয়ে আসবে ফিটিং শাহীন তার সেই অপকর্ম অব্যাহত থাকবে নিস্তার পাবে নাকি তার হাত থেকে সাধারণ জনগণ এমন প্রশ্ন অনেকের মনে।
এই মামলার তদন্তকারীর কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার এস আই নজরুল ইসলাম জানান, আমরা শাহিনের দেহ তল্লাসী করে কোন ইয়াবা পাইনি, এমনকি পর্যটকরাও আমাদের কাছে মৌখিকভাবে বল্লেও ইয়াবা কোথায় গেলো তা জানাতে পারেন নি তাই মামলা্য় ইয়াবার বিষয়টি আসেনি। তবে আমরা তদন্ত করছি বলেও জানান তিনি।