নাটোর কন্ঠ : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের শরিফুল ইসলাম। ভ্যান চালিয়ে সংসার পরিচালনার পাশাপাশি কিছু টাকা জমিয়ে বর্গা নিয়েছিলেন দুই বিঘা জমি।
সেই জমিতে কুঁড়ি কচু চাষ করেছিলেন তিনি। স্বপ্ন বেধেছিলেন ফসল বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। আজ শুক্রবার ৯ জুলাই সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন তার স্বপ্নের ফসল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে।
ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তিনি ওই এলাকার রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক বছরের জন্য দুই বিঘা জমি ৪ হাজার টাকা দিয়ে বর্গা নেয়। জমি বর্গা নিয়ে কুঁড়ি কচু চাষ শুরু করেন।
জমির মুল মালিক একই এলাকার আজিজল হক। তার কাছ থেকে রশিদ ৫ লাখ টাকা দিয়ে বর্গা রাখে। সেই রশিদের কাছ থেকেই তিনি বর্গা নিয়েছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এসে জমিতে দেখতে পান তার ফসল গুলো কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করা হয়েছে।
এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। জমির মুল মালিক আজিজল ও তার ভাই নজরুল ইসলাম জমিতে এসে ওই কীটনাশক প্রয়োগ করে যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আলহাজ উদ্দিন বলেন, তার সামনেই কুঁড়ি কচুর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন তারা দুই ভাই। অনেক নিষেধ করলেও তারা নিষেধ উপেক্ষা করে কীটনাশক প্রয়োগ করে চলে যান।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার বড় ভাই আজিজল বিষয়টি জানে। তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন নাটোর কন্ঠকে জানান, করোনাকালীন এই সময়ে খাদ্যশস্যের উপর এমন নিষ্ঠুর আচরণ নিন্দনীয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেইসাথে দারিদ্র কৃষকের লোকসান পুষিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।