বন্ধু আমার
দেবাশীষ সরকার
ঝপাঝপ ভালোবাসাগুলো ঝুড়িতে
কুড়িয়ে নিয়ে ঝলসানো হৃদয়ে দেবে প্রলেপ বন্ধু ?
এতো হতে পারে না স্বার্থপর অংশিদার আমার !
কুজোঁর ঠান্ডা জল ঢেলে দেবে গ্রীস্মমন্ডলের উত্তাপ থামাতে ?
হাসতে ইচ্ছে করে অট্ট হাসি- হা হা হা ।
তোমার বায়ুমন্ডল যেখানে
ভারি হয়ে আছে গুমোট নীল বেদনায়,
সেখানে বেসামাল ফুলের ঘ্রাণ,
চুলের আদর,
স্মৃতির গান কিংবা সুগন্ধি রুমালের স্পর্শ
কতটুকু শান্তি দেবে তোমায় ?
মেঘলোকে যুগল স্তনের ছায়া দেখে
তোমার মধুর গোপন মায়াময় সাগরে উঠে ঢেউ,
ভালোবাসার ক্ষমাহীন প্রান্তরে তখন
কেঁদে ফিরে যায় শিথিল স্বর্গীয় নির্যাস।
লজ্জ্বাবিহীন, প্রাণহীন, আভরন হীন
চলিষ্ণু ভেজা নারীর উস্ম ঠোট জুড়ে
এখন শুধু লাশের চিরন্তন গন্ধ।
ব্যাকুলস্বরে তোমার র্নিলিপ্ত প্রশ্ন-
আর কত দূর লাশের বাড়ি.?
যৌবনের যাদুকর তবুও ঘুমায় গভীর ঘুমে।
০৮-১১-১৩
আমার এই অন্ধকার
দেবাশীষ সরকার
আমার পিপাসার অদৃশ্য মরীচিকা-
সুখ-দু:খের নির্যাস এখন অধোরষ্ঠে।
নীহারিকা! তোমার হৃদয় থেকে
আমার পানে বিচ্ছুরিত আলো রওনা হয়েছে
কতো কোটি বছর আগে, বলতে পারো ?
কিন্তু জানো, তোমার কৌতহলী ঘনিষ্ঠতা
আমাকে করেছে উন্মাদ।
বিচ্ছিন্ন অথচ নিরপেক্ষ প্রণয় লীলার স্পর্শে
গভীর রাতে আমি- আমি তোমার সাথেই যাই মিশে।
হয়তো ক্ষয়প্রাপ্ত পৃথিবীটা একদিন ধিরে ধিরে বদলে যাবে,
বদলে যাবে তোমার আমার অবয়ব,
কিন্তু আজকের যে স্পর্শ, চুম্বন,
রাত্রী শেষের স্ফিত হাসি, মাতাল হাওয়ার পরশ,
অন্ধকারের দাপাদাপি,
একরাশ বিষন্ন দীর্ঘশ্বাস তুমি ভুলে যাবে ?
বদলে যাবে সব ?
নিহরীকা!
তোমার বিচ্ছুরিত আলো কবে আসবে ?
অর্ধনগ্ন অভুক্ত রক্তের কথা কে বলবে?
অশ্লীল এ আঙ্গিনায় ওরা নি:শ্বাস নেবে কি করে..?