বিশেষ প্রতিবেদক, নাটের কন্ঠ: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কমেলা বেগম নামে এক নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে ইউপি সদস্য। এসময় লিজ নেওয়া পুকুরে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা বাঁধা দেওয়ায় মাছ চাষী খায়রুল ইসলাম সালাম কে পেটানোর হুমকি দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস কুমার। রোববার দুপুরে উপজেলার বাসুদেবপুর বেলঘরিয়ার শিবপুর ও সাধনগর গ্রামে পৃথকভাবে এ দুটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ হয়েছে।
তবে ইউপি সদস্য বাবুল নারী কমেলা বেগম কে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস কুমার দাবী করেছে নিজের জায়গায় কারেন্ট জাল পেতে ছিলেন, কিন্ত জালটি বাতাসে সালামের লিজ নেওয়া পুকুরে চলে গেলে এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয় পেটানোর হুমকি দেওয়া হয়নি। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াডের সদস্য বাবুলের লিজ নেওয়া পুকুরে বাসুদেবপুর বেলঘরিয়া শিবপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছোট মেয়ে মাছ ধরার জন্য বড়শি ফেলে। বড়শি দিয়ে মাছ মারা দেখে ইউপি সদস্য বাবুল ক্ষিপ্ত আমজাদের স্ত্রী কলেমা বেগম (৫৬) ও তার ছেলে বাবু (৩০) লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ইউপি সদস্য বাবুল লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার লিজ নেওয়া পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বড়শিটি কেড়ে নিতে চেষ্টা করলে বড়শির সুতা ও কালায় বেধে হাত কেটে যায়। অপর দিকে একই দিনে সকালে উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের সাধনগর গ্রামের মাছ চাষী সালামের লিজ নেওয়া পুকুরে স্থানীয় মহিষডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস কুমার কারেন্ট জাল ফেলে ধরার চেষ্টা করলে তা বাঁধা দেওয়ায় মাছ চাষী সালাম কে পেটানোর হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় মাছ চাষী সালাম সোমবার সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস কুমার দাবী করেছে নিজের জায়গায় কারেন্ট জাল পেতে ছিলেন, কিন্ত জালটি বাতাসে সালামের লিজ নেওয়া পুকুরে চলে গেলে এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয় পেটানোর হুমকি দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ গুলো তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।