কালিদাস রায়,স্টাফ রিপোর্টার, নাটোরকন্ঠ:
নাটোরে ভার্চুয়াল কোর্টে চলছে মামলার কার্যক্রম। এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সমিতির কাছে পৌঁছানো হয়েছে। তবে এপর্যন্ত মাত্র দুটি মামলার শুনানীল আবেদন জমা পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে লালপুর আমলী আদালতের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে মোঃ হামজা নামে এক আসামীর জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক সুলতান মাহমুদ। মামলার আসামীর পক্ষে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফারহানা রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৮এপ্রিল দেশে করোনা পরিস্থিতিতে জেলার লালপুরের গোপালপুরে পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সদস্যের উপর হামলা করেন মোঃ হামজা।
জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ এবং উচ্চ আদালতের জারি করা ‘বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা’ অনুসারে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেলার সাতটি উপজেলার জন্য চারটি ভার্চুয়াল আদালত গঠন করেছেন। এর মধ্যে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ একজন সিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্্েরটট এবং দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিচালনা করবেন। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শুধু জামিনের বিষয়ে শুনানী হবে। এ সংক্রান্ত দুটি আলাদা অফিস আদেশ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সমিতির কাছে পৌছানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতগুলোর দায়িত্বশীল বেঞ্চ সহকারীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ই-মেইলে একটি করে জামিনের আবেদন জমা পড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে না পারার বিষয়টি এ কার্যক্রম শুরু না হওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে এ পদ্ধতিতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশীরভাগ আইনজীবীর অনাগ্রহ রয়েছে। অনেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষ নয়।
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক শেখ জানান, ভার্চুয়াল আদালতে অংশ নেওয়া নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে নানা মত রয়েছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত কিছু নির্ধারণ হয়নি। তবে ঈদের আগে অন্তত চার দিন ভার্চুয়াল আদালত চালুর জন্য ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো, উপকরণ সরবরাহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইনজীবী সমিতি কাজ করছে।