নাটোর কণ্ঠ: নাটোরে ভয়ঙ্কর সংক্রমনের পথে করোনা। এরইমধ্যে নাটোর জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন ডাক্তার কাজী মিজানুর রহমানসহ উচ্চপদস্থ থেকে শুরু করে নিম্ন পদস্থ পর্যন্ত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ আক্রান্ত সংখ্যা এযাবতকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। একই দিনে সকালে ৩৮ ও বিকেলে ১৪ জন মোট ৫২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। গত রাত দুইটার দিকে ঢাকা থেকে ২০১ জনের ও আজ বিকেলে বেশকিছু নমুনার ফলাফল নাটোরে আসে। তার মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ১৮ জন করোনা সনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া সর্বোচ্চ নাটোর সদরের রয়েছে ২৪ জন বাগাতিপাড়ায় চারজন, গুরুদাসপুরে তিনজন, লালপুরে ২ জন ও সিংড়ায় একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে নাটোর জেলার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৫ জনে গিয়ে দাঁড়ালো। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন অন্তত ১৯৭ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে দুইজন।
লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মী ও তার হাজবেন্ড দুজন রয়েছেন। নাটোর সদরের ২৪ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লালবাজার জনতা ব্যাংকের পাশে বাড়ি হরি শংকর কর্মকার ও পলি কর্মকার দুজন আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে উত্তর পটুয়াপাড়া এলাকার এক পুলিশ পরিবারের সদস্য পুলিশের স্ত্রী ও তার মেয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বড়াইগ্রামে ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন,তারা হলেন, বনপাড়া বাজারের আব্দুল জব্বার ,কোচায়াকোড়া গ্রামের অঅব্দুল মোতালেব,কুমুরলের ফেরেদৌস আলম, পূর্ণ কলস গ্রামের শাহিন, গোপালপুর গ্রামের সোহাগ, হারোয়া মহল্লার সায়েম, নাজিরপুর গ্রামের শাকিল, মালিপাড়া বনপাড়া পৌর এলাকার শলিফুল, কামরুল ইষরাম ঠিকানা নেই, বনপাড়া বাইপাসের খাদিমুল বাশার,বনপাড়া এলাকার শাকিল, একই এলাকার খাদিমুল বাশার, রাজাপুর বাজারের নবির হোসেন, বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ কনেষ্টবল শামসুল ইসলাম, আইন উদ্দিন, শাহাদৎ হোসেন, বনপাড়া মালিপাড়া এলাকার রুকাইয়া খাতুন, এবং মাসুদ রানা ।