নাটোরে সকাল থেকে আলুর কেজি ৩০ টাকা, বেশি নিলেই দোকানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

0
1098

নাটোরে কাল থেকে আলুর কেজি ৩০ টাকা, অতিরিক্ত দাম নিলে দোকানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নাটোর কণ্ঠ: অবশেষে সরকার লাগামহীন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে কেজিপ্রতি আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলো। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে দাম ২৩ টাকা কেজি, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা আর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হবে। এর অন্যথা হলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার জন্য জরিমানা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সকল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কে আগামীকাল সকাল থেকে মাঠে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বুধবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে এই সিদ্ধান্তে দেশের সব জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত আলু থেকে প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রপ্তানি হলেও ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

‘আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তখন প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ড ষ্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।’

চিঠিতে বলা হয়, সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রয় করা যুক্তিযুক্ত। এক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে আলু সংরক্ষণকারীর ২ টাকা মুনাফা হয় বলে প্রতীয়মান হয়।

অন্যদিকে আড়তদারী, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেই অনুযায়ী পাইকারি মূল্য (আড়ৎ পর্যায়) ২৩ টাকা ৭৭ পয়সার সঙ্গে মুনাফা যোগ করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দেয়া যেতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

একজন চাষীর প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করবেন। এই মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিনপক্ষই যাতে আলু বিক্রয় করেন, এজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামে মাজেদুল বারী নয়নের নির্বাচনী মতবিনিময় সভা
পরবর্তী নিবন্ধনলডাঙ্গায় রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ মুরগি বিক্রি ,প্রসাশনের অভিযান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে