বিশেষ প্রতিবেদক, নাটোরকন্ঠ:
লালোর ইউনিয়নের আতাইকুলা মৌজার ১০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খননের অবৈধ কাজ চলছে। গত বছর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক একটি রীটের প্রেক্ষিতে নাটোর জেলার ৫টি উপজেলায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা যাবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বাগাতিপাড়া, সিংড়া, গুরুদাসপুর উপজেলাসমূহের কোন কৃষিজমিতে পুকুর খনন করা যাবে না। এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জানেন।তাদের নিকট আদেশের কপি পাঠানো হয়েছিল। নাটোরে সিংড়া উপজেলার লালোর ইউনিয়নে সে নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। কোট অবমাননা করা হচ্ছে।
লালোর চরপাড়া বিএনপির সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো: মালেক, পিতা: আয়নাল, মৌজা লালোর, উপজেলা সিংড়া। বুনিয়াদী শেখের ইট ভাটার পাশে ১০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। রাত্রীকালে ভেকু দিয়ে অবাধে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে হাজী শুকুর আলী । তিনি জমি ৬ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন পুকুর কেটে মাছ চাষ করবেন চুক্তিতে, আর মাটি বিক্রি করা হবে আবার পুকুরের পাড় বাধা হবে বলে অনুসন্ধানে জানা যায় । লালোর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মো: মালেক এর নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- আমার পিতা আইনাল হকের জমি। এখনও তার নামেই আছে, তিনি এখন বয়স্ক, তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তার সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে মালেক অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান জমি আমার না, আমি কাউকে লীজ দেই নাই, পুকুরও খনন করছি না। তার পিতা আইনাল জানে সব।আমি হাজী শুকুর আলীকে চিনি কিন্তু তার সাথে আমার কোন বিষয়ে কোন চুক্তি হয়নি, জমিও লীজ দেইনি আমি।
হাজী শুকুর আলীর সাথে পুকুর খননের বিষয়ে তার ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন- আমি কোন পুকুর খনন করছি না। আমি আয়নাল হক বা মো: মালেকের কোন জমি লীজ নেয়নাই।আমার পুরাতন বড় বড় পুকুর আছে, সেগুলো দেখাশোনা করি। আমার নামে কেউ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি মিথ্যা কথা বলি না। আমি হাজী মানুষ। যে জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে তার পাশের জমির মালিক ইয়াদ আলী ।
ইয়াদ আলীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান-পুকুর খনন করছে হাজী শুকুর আলী, তিনি জমি লীজ নিয়েছেন সাবেক মেম্বার মো: মালেক এর নিকট থেকে। এ জমি মালেকের পৈত্রিক জমি। মালেক চাষাবাদ করতো। মালেকের নিকট থেকে হাজী শুকুর আলী ৬ বছরের জন্য লীজ নিয়েছে বলে শুনেছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাশের জমির অপর একজন মালিক বলেন- ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে রাত্রিতে। ভেকুটি শেরকুল ইউপি চেয়ারম্যানের তাই এলাকার লোকজন ভয়ে কিছু বলছেন না। চেয়ারম্যানের ভেকু ভাড়া নিয়ে গত ৫ রাত্রি ধরে খনন কাজ করছে। জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ১১/১২ কি. মি. দূরে পুকুর খননের কাজ চলছে।
Advertisement