স্টাফরিপোর্টার,নাটোর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৫ বছরের শিশু কন্যা ফাতেমাকে হত্যা করেছে ১৩ বছরের কিশোরী সোনালী খাতুন। শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে হত্যার বর্ননা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে সোনালী। বিচারক সোনালীকে রাজশাহীর সেফ কাস্টরিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার সূত্র জানাযায়, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা চরপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের সাথে তার ভাতিজা দেরেশ উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। দেরেশ উদ্দিনের মেয়ে সোনালী গত ২৯ জুন শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ির পার্শে পকুরে ফাতেমার লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় ৯ জুলাই ফাতেমার মা মিনারা খাতুন গুরুদাসপুর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে সোনালী খাতুন এবং তার দুইভাই জয়নাল হোসেন ও ইসমাইল হোসেনকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনালীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সোনালীকে আদালতে সোর্পদ করা হলে পুকুরে ফেলে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। এছাড়া মামলার অপর দুই অভিযুক্তকে আটক করতে অভিযান চলছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পরিদর্শক আবু সাদাদ।