রাজিবুল ইসলাম বাবু স্টাফ রিপোর্টঃ- নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জামনগর ইউনিয়নের রৌসুনগীরি পাড়ার সন্ধায় ঢাকা মিরপুর -৭ থেকে এসে সেচ্ছায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে আসেছেন ২ জন। জানাযায় ওই ২ জন ডেকো গার্মেন্টস থেকে সন্ধা ৭ ঘটিকায় তারা বাসায় না গিয়ে জামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে, ২ নং জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কুদ্দুস কে মুঠোফোনে জানান আমরা ঢাকা থেকে এসেছি এখন আমরা জামনগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে আছি আমরা বাড়ি যাবো না, এখন কোথায় থাকবো ১৫ দিন বলেন? ওই চেয়ারম্যান বলেন ওখানে আমার গ্রাম পুলিশ আছে আমি বলে দিচ্ছি আপনারা ওখানে থাকবেন। এ নিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠান কোয়ারাইন্টে রাখা হয় ২০ জন কে। সন্ধায় গ্রামপুলিশ এসে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে নেয়া হয় তাদের।
ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অনেকেই দিনমুজুর। এরা একই পরিবারে গাদাগাদিকরে বসবাস করছে। ফলে তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার পরিবেশ না থাকায় ২০ জনকে নেয়া হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে । ২০ জনের সেখানে থাকা খাওয়ার সকল ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা কাজ করে চলেছে। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারান্টাইন মানছেনা এবং কিছু মানুষ আছে একই পরিবারে বেশি মানুষ বসবাস করছে। ফলে হোম কোয়ারান্টাইন মানতে পারছেনা এমন পরিবারকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।