নিন্দুকদের পেন্নাম করি
–খন্দকার মাহবুবুর রহমান
তুই হয়ে যা জর্দা পান, আমি পান মশালা,
দুজনে মিলে হয়ে যাই আয় কোন কবির মুখের ঘোসলা।
চর্ব্য চোষ্য করে আমায় পিক বানিয়ে ফেলবেই,
আমার লেখা দেখে ওদের হাড় মাংস যে জ্বলবেই।
তুই হয়ে যা সড়ষের তেল, আমি হবো পোনা মাছ,
মাছভাজা করে গল্পের ওরা মুড়োবেই নটেগাছ।
তুই হলি গিয়ে পাঁকাল কিন্তু আমি যে ছোট্ট পুঁটি,
তাইতো ওরা আমাকে দেখে হেসেই লুটোপুটি।
আমার লেখায় ভিরমি খেয়ে অজ্ঞান যদি না হয়,
আমি কিন্তু ওদের পাচ্ছি জুজুর মত ভয়।
বড় বড় সব পন্ডিত ওরা, গলায় মালা পরা,
পেন্নাম করি দূর থেকে ওদের, রাঘব বোয়াল যারা।
সমাজ সংস্কারের নামে ওরা নিন্দেমন্দ করবেই,
নিজেরা কত নামকরা “জ্ঞানী” সেটুকু বলতে লড়বেই।
এমনিতে ওরা ছুঁয়েও দেখেনা এই অপদার্থের পোস্ট,
কাছে গেলে টানে জড়িয়ে ধরে, দূর থেকে আমি “ঘোস্ট”।
ওদের সাহিত্য রসনা তৃপ্তি, আমারটা বাসি পান্তা,
আমি হলাম গিয়ে টিকটিকি ছুঁচো, ওরা বিজ্ঞ সবজান্তা।
হাসির মুখোশে সেজেগুজে ঘোরা “নামকেনা” দের দল,
তুই আর আমি আছি এই ভাল,নাড়ুক ওরা জাঁতাকল।
যত্ত পারে করুক ওরা নিন্দেমন্দ আর জল্পনা,
ঝোলাক মনে আমার জন্যে নাক সেঁটকানো কল্পনা।
জ্বলছে যারা জ্বলুক আরো, পন্ডিতদের দল,
মূর্খ হয়েই এই আছি বেশ, মূর্খামি সম্বল।
( সাহিত্যরসিক পাঠক, শ্রদ্ধেয় কবিগণ ও বন্ধুরা এই কবিতায় শুধু নির্ভেজাল আনন্দ খুঁজলেই খুশি হবো। দয়া করে নিজেরা গায়ে না মাখলে বেশি ভাল লাগবে। সমালোচনা চলুক।……….)