নাটোর কণ্ঠ: ফিটিং শাহিন নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে রাজশাহী থেকে আসা পর্যটকদের ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসিয়ে দিতে চেয়েছিল পর্যটকদের কিন্তু সেই ইয়াবার হদিস মেলেনি। সাময়িকভাবে গ্রেপ্তার ও আদালতে সোপর্দ হলেও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসেছে ঠিকই।
শাহিনকে বের করার পেছনে কোন শক্তি আছে, কিন্তু কে তার আশ্রয়দাতা, কে তার প্রশ্রয়দাতা, প্রশ্ন সচেতন মহলের? আজ আবার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয় ফিটিং শাহিন সেই সময় ভিডিওতে দেখা যায় কোন এক এসপি স্যার কে তার নিজ নাম্বার থেকে ফোন দিয়েছেন এবং তাকে সেই নাম্বার থেকে ছেড়ে দেওয়ার অথবা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সচেতন মহল ও সাধারণ নাগরিকদের প্রশ্ন- কার ছিল সেই নাম্বার? পুলিশ প্রশাসনের নাকি রাজনৈতিক কোনো রাঘব বোয়ালের? এমন প্রশ্ন ঘুরছে জনমনে।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি নাটোর কণ্ঠকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, যেহেতু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তাই আমরা শাহিন কি আটক করতে পারেনি। তবে আমরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে বলেছি যেহেতু আপনাদের কাছে এসে চাঁদা দাবি করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে তাই আপনারা দ্রুত এ বিষয়টিতে একটি এজাহার দায়ের করুন। আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, শেফা ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা আইনের পথে চলতে ভয় পায়। তাই তারা ফিটিং শাহিন কেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করতে রাজি নয়। তাদের সবসময়ই ভয় কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে পড়বার।
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার সঙ্গে কথা বললে তিনি নাটোর কণ্ঠকে বলেন, ফোনে তার সঙ্গে শাহিন নামে কেউ কথা বলেনি। তাছাড়া বিষয়টি আমি নাটোর সদর থানা থেকে জেনেছি। কেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মামলা দিবে না সে বিষয়টিতেই খতিয়ে দেখতে বলেছি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে। এবং ফিটিং শাহীনকে আটক করে তার ফোন থেকে কার কাছে ফোন দিয়েছিল বা সহায়তা চেয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
ফিটিং শাহিনের মত এমন একজন কেউকেটে সমাজে বিচরণ করবে আর বারবারই অপরাধ সংঘটিত করবে কিন্তু নেপথ্যে সেই শক্তি তাকে বারবারই রক্ষা করবে। তাই ফিটিং শাহিনের মোবাইলইলের সেই নাম্বারটি কার তা জেনে মূলহোতাকে আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের।