সেলিম রেজা,বাগাতিপাড়া,নাটোর :
ডাক্তার না হয়েও নিজেকে সরকারি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী পশু চিকিৎসক আব্দুর রশিদ এর বিরুদ্ধে। আব্দুর রশিদ নাটোরের বাগাতিপাড়া পৌরসভার উত্তর মুরাদপুর মহল্লার আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদ জামনগর ইউনিয়নের ভ্যকসিনেটর। কিন্তু তিনি নিজ উইনিয়নের দায়িত্ব পালন না করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গবাদী পশুর চিকিৎসা করে বেড়ান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে তিনি গবাদি পশুর চিকিৎসা দেন। অসহায় গরীব মানুষদের কাছে নিজেকে সরকারি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার নামে অপ-চিকিৎসা করে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে এছাড়াও তিনি পশু চিকিৎসায় প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর ঔষধ লিখলেও নিজে বিক্রির সময় নিম্নমানের ঔষধ প্রয়োগ করেন।
একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তাকে লিখিতভাবে সতর্ক করা হলে উল্টো দপ্তর প্রধানকেই হুমকি দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন পূর্বেও দক্ষিন মুরাদপুরের একটি বাছুরকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার মারা যওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি গত বুধবার (১৩মে)সন্ধ্যায় বাগাতিপাড়া পৌরসভার টুনিপাড়া মহল্লার ছইমুদ্দিনের গরুকে জ্বরের চিকিৎসা দেয় রশিদ। প্রায় ৯০হাজার টাকা মূল্যের গুরুটি রাতেই মারা যায়। এঘটনায় গরুর মালিক ছইমুদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় রশিদ চিকিৎসা দিতে এসেছিলো, সে সাত শত ষাট টাকার ঔষধ লিখেছিলো। সবগুলো ঔষধ কিনে রাতেই খাওয়ানো হয়। কিন্তু গরুটি রাতেই মারা যায়।
আব্দুর রশিদের দাবি, তিনি এসএসসি পাশ করে লালপুর যুব উন্নয়ন থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে গবাদী পশুর চিকিৎসা করছেন। তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। অন্যরা শত্রুতা করে এমন অভিযোগ তুলেছেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ বি এম আলমগীর বলেন, ‘উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আব্দুর রশিদ নিজেকে একজন সরকারি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার নামে অপ-চিকিৎসা করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া ও গরু-ছাগল মারার অভিযোগ পাওয়ায় তাকে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়। তারপরেও রশিদ একই অপরাধ করেই চলেছে। এদিকে তাকে চিঠি দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজে এবং অন্যকে দিয়ে আমাকে হুমকি দেয়। সে বলেছে তার চিকিৎসায় এর আগেও গরু মরেছে কিন্ত আগের কোন ডাক্তার তাকে কিছু বলেনি। এছাড়াও এগুলো নিয়ে আমাকে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়।
Advertisement