বারোমাস্যা
কবি চন্দনা রায় চক্রবর্তী
তোমার আশালতা ফেরানো পথে
এক আলোকবর্ষ দুরত্ব হেঁটেছি।
সিন্ধুসভ্যতার আদিম স্নানাগারে
আমার কৃষ্ণকলি পদচিহ্ন
আজও সহস্র পদ্মের সুগন্ধ আনে।
আমিই মহেঞ্জোদারোর আদিম নারী
যার বিভঙ্গ, শরীরী তরঙ্গ অাপামর।
আমাজনের বৃক্ষলতায় সামঞ্জস্যে
আমি ঘটমান অতীত।
তেপান্তরের অবিমিশ্র সাহিত্য পরিসরে
আমি অভিমানী কনকদুর্গা।
আমার অবগুণ্ঠিত পদাবলী
ধুয়ে গেছে, এমনি কত আষাঢ়-শ্রাবণে।
নবান্নের গন্ধমাখা বারোমাস্যা
ডুবে গেছে ঝিঁঝি ডাকা রাতের কোটরে।
নির্জনতার কালবেলা পার করে
একদিন আমার চিবুক ছুঁয়েছে
রোদেলা বিকেলের রামধনু।
আমার আত্মমগ্ন তুলি থেকে উঠে আসা
জন্মান্তরের নদী, বেলাশেষে
আলতো হাতে ছুঁয়ে গেছে
তোমার প্রান্তিক নিঃসঙ্গতা।
Advertisement