বুলেট বিদ্ধ পিতার দেহ এবং একটি কলো অধ্যায়
কবি মাহফুজা আরা পলক
এসেছে আগষ্ট, কালো অধ্যায়ের পথ মারিয়ে।
খুলেছে আবার ঘনান্ধকারের পাতা বাঙালি,
যে অধ্যায়ের গ্রথিত ইতিহাস কেবল ভরা অন্তর্ঘাতী।
স্বাধীনতার স্বপ্নে উদ্বেলিত হয়ে অনেকে
ছিনিয়ে আনতে চেয়েছিলেন বিজয়ের তাজ,
বহু ত্যাগে বঙ্গবন্ধু তা অর্জন করে হলো বাঙালি জাতির অধিরাজ।
যারা ধৃষ্টতা দেখিয়ে আমাদের ইতিহাসকে করলো অপকৃষ্ট,
এই জঘন্য ম্লেচ্ছাচারীদের আমরা করবো না ক্ষমা তারা যে পাপিষ্ঠ।
বঙ্গবন্ধুর চতুর্পাশে এরা ছিল ভ্রমান্ধ তবে ঘড়িয়াল,
আপন সরলতায় বাঙালীকে বঙ্গবন্ধু ভালবেসেছেন চিরকাল।
সেদিনও ধরণীতে সূর্য ওঠার প্রস্তুতি চলছিল,
তবুও কেন জানি শ্রাবণের কৃষ্ণ বর্ণের মেঘ তাকে ঢেকে দিয়ে ছিল।
হয়তো লজ্জায় ম্রিয়মান হয়ে ভ্রুকুটি করে এ কাজ করেছিল!
এমন সংবর্তন বাকরুদ্ধ হয়ে ঘটাতে পারেনি তখনো ঘনোপল,
নিঃশেষিত শক্তি সঞ্চার করে ঝরিয়েছিল শুধু অঝোর ধারায় অশ্রুজল।
বিদীর্ণ বক্ষের ক্ষরণ থেকে নেমে এসেছিল বাঙালীকে ভালবাসার লোহিত নদী,
এতকাল পরও আমি গিয়ে বুঝেছিলাম কী নৃশংসতায়
কেঁপে উঠেছিল সেদিন ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ি।
তোদেরকে বাঙালী ক্ষমা করবেনা কোন দিন আর,
এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের জন্য তোদের স্থান কেবল ভাগাড়।
আগষ্ট আসলে আমাদের ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় অন্তর,
যদি পারতাম এই জঘন্য ইতিহাসকে করে দিতাম লিপ্যন্তর।
গৌরবোজ্জ্বল জীবনে শত বাধা জাতির পিতাই পারেনি কখনো দমাতে,
তেজে ভরা অগ্নি চিরকাল বহ্নি শিখা হয়ে জ্বলে উঠে অবশেষে।
তাই বুলেট বিদ্ধ পিতার দেহ আজও
প্রকৃত বাঙালির কন্ঠে তর্জনী উঁচিয়ে কথা বলে।।
১৫/৮/২০২০