বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই – আবু জাফর সিদ্দিকী

0
748
জাফর

বেকারত্ব দূরীকরণে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই – আবু জাফর সিদ্দিকী

বেকারত্ব একটা অভিশাপ, বোঝা। বেকার ছেলে পরিবার, সমাজ ও দেশের বোঝা। বেকারত্ব দূর করতে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই। দেশে বেকারত্ব দূর করার অনেক অবলম্বন আছে, অনেক খাত আছে। নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সম্ভব বেকারত্ব দূর করা। কৃষি খাত, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি শিল্প, গাভী-ছাগল পালন ইত্যাদিতে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। এতে নিজের বেকারত্ব দূর হয় পাশাপাশি সমাজের অন্য বেকারদেরও কর্মসংস্থান হয়। অল্প পুঁজি আর মনোবল নিয়ে হওয়া যায় সফল উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের কৃষি খাত অনেক সম্ভাবনাময়। বর্তমান প্রযুক্তির এ যুগে যেকোন ফসল, সবজি বা ফল চাষ লাভজনক। সমন্বিত কৃষি খামার, মাছ চাষ, সবজি চাষ অপার সম্ভাবনার। বিদেশি বিভিন্ন প্রকার ফল চাষ এখন বাংলাদেশেও সম্ভব।

যেমনঃ সৌদি খেজুর, ভিয়েতনাম নারকেল ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রকার মাছ চাষের মাধ্যমেও দূর করা যায় বেকারত্ব। বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি দেশের মাছের চাহিদা পূরণ করে বিদেশী মুদ্রা অর্জন করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা যায়। গাভী পালন, ছাগল পালন, ভেড়া পালন সহজলভ্য। অল্প পরিসরে বাড়িতেই শুরু করা যায়। এতে পুঁজিও লাগে অনেক কম। চরম ইচ্ছাশক্তিই পারে বেকারত্ব দূর করতে। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি মাছ চাষ, মাছের সাথে সমন্বিত হাঁস পালন বা মুরগি পালন করা যায়। আবার মাছের সাথে সর্জন পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা যায়। অল্প জায়গায় একই সাথে একাধিক ব্যবস্থা।

বিভিন্ন প্রকার গরু, ছাগল, ভেড়ার খামার করে দেশের মাংস ও দুধের চাহিদা পূরণ পূর্বক বেকারত্ব দূরীকরণ পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগকে কাজে লাগানো যায়। এছাড়াও দেশি, পোল্ট্রি, টার্কি, লেয়ার মুরগি পালন করা যায়। অল্প পুঁজিতে অল্প পরিসরে পালন করাও সম্ভব। একসময় কবুতর ছিলো মানুষের সখের প্রাণী। সখ করে বাড়িতে অল্প কিছু কবুতর লালনপালন করতো, তবে বর্তমানে কবুতর পালনও একটি বাণিজ্যিক মাধ্যম।

হরেক রকমের কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। হাঁস পালনের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করছে অনেক শিক্ষিত তরুণ। পড়াশোনা শেষ করে চাকুরির পেছনে না দৌঁড়ায় হাঁস পালনে সফল হয়েছে দেশের হাজারো তরুণ। হাঁস পালনে একই সাথে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি সবজি চাষ বর্তমানে লাভজনক। এ ক্ষেত্রে তেমন পুঁজি লাগে এমনকি পরিশ্রমও কম। করলা, বেগুন, টমেটো, লাউ, কুমড়া, কপি, শিম আগাম চাষাবাদ করতে পারলে অধিক আয় করা সম্ভব। আর এ সব এর জন্য প্রয়োজন গভীর অধ্যাবশায়। বর্তমানে চাকুরির পেছনে না ছুটে এগুলো পন্থা অবলম্বন করে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। তাতে সে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে অংশীদারিত্ব করতে পারবে।

আবু জাফর সিদ্দিকী গণমাধ্যম কর্মী, নাটোর ০১৭৬৪৯৯৩০৯৬

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সাকাম’ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, নাটোর নিজস্ব রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠার স্মৃতি- শেখর কুমার সান্যাল
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে সুপ্রীম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে পুকুর খনন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে