বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি, নাটোরকন্ঠ
নাটোরের বড়াইগ্রামের বাজিতপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে আহত হয়ে মাটিতে অবস্থান নেয়া অর্ধশতাধিক শামুকখোল পাখী গ্রামবাসীর কে বা কারা রান্না করে খেয়ে ফেলেছে তার প্রমাণ খুঁজে পায়নি র্যাব-৫ এর অভিযানিক দল। শুক্রবার দিনব্যাপী র্যাবের একটি বিশেষ টীম বাজিতপুর গ্রামে গিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের এএসপি রাজিবুল আহসান জানান, শামুকখোল পাখী কতগুলো আহত হয়েছে এবং কে মেরে রান্না করে খেয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী চলছে, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে পাখী হত্যা হয়েছে কিনা খুঁজে বের করা হবে এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। র্যাব কর্মকর্তা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গ্রামবাসী ও সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা ও আইনী বাধ্যবাধকতার বিষয়ে সকলকে সচেতন করেন এবং এ ধরণের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সে ব্যাপারে গ্রামবাসীকে সতর্ক করেন।
উল্লেখ্য, বাজিতপুর গ্রামের একটি শিমুল গাছে অর্ধশতাধিক শামুকখোল পাখি কিছুদিন আগে অবস্থান নেয়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঘূর্ণীঝড় আম্ফানের ঝড়ো হাওয়ায় কিছু পাখি মাটিতে পড়ে আহত হলে কতিপয় গ্রামবাসী ধরে নিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলেছে মর্মে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সরেজমিনে তদন্তে আসেন রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, র্যাব-৫ এর এএসপি রাজিবুল আহসান ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজ।
বড়াইগ্রামে শামুকখোল পাখী রান্না করে কে খেয়েছে প্রমাণ পায়নি র্যাব
Advertisement