ভাঁটফুল
কবি দেবাশীষ সরকার
বৃষ্টির নোনা জলে চোখের জল হয়তো মুছে যায়, উন্মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে, দুই বাহু প্রসারিত করে উচু আকাশটির সাথে সখ্যতাও হয়তো হয়!
কিন্তু বৃষ্টি শেষে ভেজা কাপড় যখন, শরীরের তাপে যায় শুকিয়ে, তখন কষ্টের আনন্দে খুব বড় বেশি ভাবনায় আসো তুমি।
শিমুল, পলাশ, নীল অপরাজিতা, কদম, জুঁই, কৃষ্ণচুড়া, কলাবতী কিংবা টবে ফলানো রাঙা আদরের ফুলটি ভরা পূর্ণিমার চাঁদের মতো ভয়ংঙ্কর সুন্দর হয়ে বিস্ময়ে উপচে পড়ে তাদের আঙিনায়..
আর আমার ভালোবাসা, স্মৃতি আগলে বেড়ে উঠা ভাঁট ফুলটি বড় বেশি অপাংক্তেয় হয়ে ঝড়ে পরে মেঠো পথের ধুলোয়…।
তার তো বসন্তের বন্দনা নেই! নেই বর্ষার রিমঝিম তানে রবির গান, সে তো রুক্ষ রুদ্র রোদে বিলিয়ে যায় বুনো সুবাস!
বুক ভরে সে আস্বাদ হয়তো মন ভোলায় বিরহী হৃদয়ের কিন্তু ওখানেই কি তার শেষ..!
হয়তো তোমাদের ঠান্ডা ঘরের কড়া কন্ঠের যাদুতে ভাঁটের ইতিহাস মায়াবি ছায়াচিত্রে পায় না স্থান! তাতে কি-ই-বা আসে যায় এই দুরন্ত পথিকের.?
আমিতো মোহিত হয়ে বিভূতি, মৃন্ময়, মানিক কিংবা প্রিয় জীবনানন্দের ভাঁট ফুলের মায়ায় এইখানে পরে রবো চিরকাল….