মৃত্যুর পূর্বে চিকিৎসার গ্যারান্টি চাই-রেজাউল করিম খান
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আমার মতো বয়স্ক মানুষ একটু বেশিই আতঙ্কিত হতে পারে। যখন ‘ভিআইপি’রাও বড় হাসপাতালে ভর্তিই হতে পারছেন না, আবার বিশেষ তদবিরে ভর্তি হলেও চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সুবিধা পাচ্ছেন না, তখন আমার মতো সাধারণ মানুষ অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা পাবো বলে বিশ্বাস হচ্ছে না। এমন খবর প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।
ড. তারেক শামসুর রেহমান আজ প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন,
জাহাঙ্গীরনগরে তাঁর সিনিয়র সহকর্মী অধ্যাপক মির্জা মফিজউদ্দীন নিজের বাসায় মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যে হাসপাতালে তাকে প্রথমে ভর্তি করানো হয়েছিল, ডাক্তার স্বল্পতার কারণে তারা তাকে একদিন পর ডিসচার্জ করে দেয়। তিনি মারা গেলেন চিকিৎসা ছাড়াই! ড. সা’দত হুসাইন ভিআইপি হয়েও তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি- এমন অভিযোগ তার পরিবারের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়েছিল। ড. রেহমান লিখেছেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেড প্রফেসর আমি। ভিআইপি সুবিধা আমি পাই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্যও ছিলাম। এখন মির্জা মফিজ, সচিব ও পিএসসি’র চেয়ারম্যান যদি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পান, তাহলে এই করোনাকালে আমার নিজের আস্থার জায়গাটা থাকে কোথায়?”
ওদিকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাবরিনা ইসলাম সুইটি মারা গেছেন। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এসময় আইসিইউর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শয্যা খালি ছিল না। রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
এইসব খবর দেখেশুনে বুকের ভেতর ভয়ের কম্পন অনুভব করছি। এমতাবস্থায় আমি মৃত্যুর পূর্বে কার কাছে চিকিৎসার গ্যারান্টি চাইবো?