মেলা ছুট চপ্পল
কবি গৌতম চট্টোপাধ্যায়
জীবন তো
ছিলনা জীবন্তু..
মেলা ছুট্ চপ্পলের মতো
একা..
একটু হাঁদা একটু বোকা..
মেলা শেষ __
পড়ে আছে একটা চপ্পল
না ব্যস্ততা না কোলাহল..
মুখ থুবড়ে পেছন উলটে
পড়ে থাকা
জীবনটা বড্ড একা..
হাওয়া বইলো
না নড়লো
বইতে বইতে
ঝড় এলো..
দু-চার বার
সইতে সইতে
এদিক ওদিক মাটিতে
নীরবে নিভৃতে
কোলাকুলি করে সাষ্টাঙ্গ
থেকে চিত-পটাং
দেখলো আকাশ একটুক
ঝিরঝিরে থেকে ঝুক্ ঝুক্ থেকে
ঝমঝম বৃষ্টির জল রেখে রেখে
ঠেলাঠেলি করে
ধীরে ধীরে
ঝুপ্ করে
ফেলে দিল নর্দমার জলে…
তরতর করে নোংরা জলে
বয়ে যেতে যেতে
পথে
আটকে গেল ঠিক
এই কী জীবন?! ধিক্!
জঞ্জাল আর্বজনায়
ভরা জায়গায়
এদিক আর ওদিক
চারদিক
ন যযৌ ন তস্থৌ ষ্টেটাস কিউ
জীবনের কত্তো ভিউ
বেদম হয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকা..
বড্ড একা বড্ড একা..
নোংরা জল গিলে গিলে
অবচেতন বা ভাবনার ঝুলে
ভাবা _এটা অবনমন
না কী পতন !?
একদিন হঠাৎ
সাক্ষাৎ
কিছু পরে
তর তর করে
অন্য এক চপ্পল এসে গেল সেঁটে…
খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে
নালী সাফ করা লোকটা নামলো
আর্বজনা সরালো
ভিন্ন মেরূর দুই চপ্পল ওঠালো..
কাজ শেষে
অবশেষে
কলের জলে হাথ-পা ধুলো
দুই ভিন চপ্পল পায়ে গলালো
আর চলে দিলো….
লোকে দেখে
হাসে ওকে
ওর তো কাজ চলছে বেশ…
খুলে রাখে দাওয়াতে
দমবন্ধ ঘর বাইরে রোদে হাওয়াতে
পাশাপাশি
হাসাহাসি
পৃথক দুই চপ্পলের মনে
হৃদয়ের কোনো কোণে
ভালোবাসার আবেশ….
ভাবে..এই ভালো আছি বেশ!