রফিকুল কাদির‘এর একগুচ্ছ ছড়া

0
337
Rafiqul Kadir

(এক)

দড়ি দিয়ে ঝুপ করে উঠে পড়ি সিঁড়িতে
বাস-সিটে বসে ভাবি, বসে আছি পিঁড়িতে
টাকাকড়ি যা তা দুদ্দাড় লম্ফ
দাঁতে কাটা সুতা নয় জগঝম্প

তারপরও সাতদিন সপ্তাহে চৌদ্দ
বৌ হাতে গুঁজে দেয়া বাজারের ফর্দ

(দুই)

একদিনে বাস করি একই ঘর-বাড়ি
নাপিতের খোঁজ নেই গজিয়েছে দাড়ি

ইয়া বড় দাড়ি আর এতো বড় গোঁফ
বউ বুঝি পস্তায়, জমে বুঝি ক্ষোভ

প্রতিদিনই ছুটে আসে হাতে নিয়ে কাস্তে
সকালের ঘুম তাই রোজ যায় ভেস্তে

চুলকানির ঠ্যালা আছে, ঝুলে আছে এঞ্জেল
ঐ তো ভালো ছিল, ভালো থাকা সিঙ্গেল

(তিন)

পুকুরে জল থাকে পুকুরের জল
বালি ভরা পুকুরেও মাছ খলবল

জারিজুরি সব গেছে, নেই কোন ভক্তি
শুক্কুরবারে খাই শুধু ক্ষীরতক্তি

তারপরও নাকে জল আইনের সর্দি
বেড় না বেশী ভায়া, তুলে নিয়ে যাবে
ওরা যারা পড়ে উর্দি

(চার)

পরশু এলেন গনি মিয়া হাতে নিয়ে কাস্তে
কাজ করবেন বাগানে সাথে তার ভাস্তে

চারিদিকে ইতিউতি আগাছার হল্লা
কাজ সেরে বলেছেন, খাবেন রসগোল্লা

আগে সের কুড়ি ছিল এখন বেড়েছে দাম
কেজি বলে দুইশ’ শুনে শীতে ঝড়ে ঘাম

গনি মিয়ার মামা বাড়ি বিনোদপুর বস্তি
দশ মাইল হেঁটে হেঁটে, তবু মনে স্বস্তি
পৌঁছে জোড়ে হাঁক দিতেন, মামা আছো বাড়িতে?
শুনে মামা হেঁসে বলেন, ছানা আছে হাঁড়িতে
চিনি মেখে এক চামচ খেয়ে ঘরে বসে যাও।
তারপর খুব কশে এক গ্লাস পানি খাও।
দেখবে কি দারুণ ছিল রসের ঐ স্বাদটা
মজা পুকুরে মামী রোজ মাজে হাঁড়িটা
আরও আছে গো-চানা, পঞ্চগোব্ব
বাছা অতো সোজা নয় হয়ে ওঠা সভ্য

গনি মিয়া প্রতিরাতে সে হাওয়াই ছেঁকে খান
কি হবে এতো ভেবে, না দিলেও প্রতিদান

(পাঁচ)

ছড়া লিখে যদি আমি কভু খাই কিল
জানি পাব আনন্দ সেও অনাবিল

ছড়া লেখা সোজা নয় বড়ই কঠিন
মাত্রা ছন্দ পদে যদি হয় ক্ষীণ
ঝুলে যাবে তখনই জানি আমি সবই
কবিতা-ই লিখি তাই ছড়া নয় হবি

বেঁচে আছেন রিটন ভাই যতোদিন ভবে
কে আমি কোন ছাড় লিখতেই হবে
সন্তর্পণে আমি ছেঁটে যাই লোভ
ছড়ার-ই জয় হবে, তার জয় হোক

Advertisement
উৎসRafiqul Kadir
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে আজ গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেনসহ ১৩ জন আক্রান্ত
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে করোনা প্রতিরোধে বিশেষ ভ্রাম্যমান আদালত, ১৪ জনের জরিমানা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে