লহুবন
জাহিদ জগৎ
অনেক কথাই বলা যেতো, করা যেতো অনেককিছুই
সেসবের মাঝেও খুঁজে নেওয়া যেতো তোমাকে, যেমন ধরো বিপ্লব
যেখানে কেউ নেই, সেখানেও টিকে আছে দ্বন্দ্ব
তরবারীর উল্টো পীঠের মতো ভোতা, কাউকে না কেটেও সে যুদ্ধে লিপ্ত
এবং জয় পরাজয়ে যার কোন হাত নেই এমন এক বৃক্ষের নিচে
খুঁজে পাওয়ার মতো
লাল সুতো জড়ানো সমস্ত আকাঙ্খায় গিঁটবাঁধা পৃথিবীর বালুভূমিতে
“হায় হোসেন” এর প্রবাহিত রক্ত,
গঙ্গাপুত্রের স্বেচ্ছা মরণের দায় খোদা নিজেই কি আত্মহত্যা করতে চান নাই?
চেয়েছেন, আমার ফিরে আসা সমুদ্র তটে একা একজোড়া নুপুর যেন গভীর রাত্তিরে নাম ধরে ডাকে
যে উষ্ণ – উত্তপ্ত, যার ফেরার তাড়া নেই।
তবু, পৃথিবীর এইসব কেলেঙ্কারীতে নিজের নাম লিখে রাখা, যদিও আর কেউ বেঁচে নেই
যারা কথা বলে, তোমাকে ঘিরে, ক্যাকটাসের মতো বেড়ে ওঠা মুক্তি
অথবা চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে তোমাকে আমাকে আলাদা করে দিয়েছে,
সেইসব যুক্তির পক্ষে নিকটস্থ বাড়ি-ঘর ছিন্ন মস্তকে সাজানো
সব’চে নিকটস্থ যে পাখিটা রোজ আমাদের চিঠি আদান-প্রদান করতো
তার কাছে সমুদ্র এক লহুবন
যে নিজেই শুয়ে আছে অসংখ্য তীরের উপর।