লালপুর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া-লালপুর – বিলমাড়ীয়া – নওপাড়া সড়কসহ গুরুত্বপুর্ন সড়কগুলো চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে যানবহন ও পথচারিদের। দীর্ঘ দিন সংস্কার না থাকা ও সড়ক বিভাগের অবহেলায় জনসাধারনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, তাদের প্রশ্ন দেখার কেউ নেই? দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করায় জনগুরত্বপূর্ণ ওয়ালিয়া – লালপুর ১৫ কিলোমিটারের সড়কের পিচ-কার্পেটিং উঠে গিয়ে লালপুর কলেজ মোড়ে, হাইস্ককুল মার্কেটের সামনে, বৈদ্যনাথপুর, চকনাজিরপুর এলাকায় যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তাতে ধান লাগানো জমি মনে হচ্ছে।
লালপুর – বিলমাড়ীয়া – নওপাড়া সড়কটি অবস্থাও এতোই করুন সন্তান সম্ভাবনা কোন মা গাড়ীতে করে যেতে ভয় পান। এ সড়কটি সংস্কারের জন্য দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী।
দীর্ঘ ১০ বছরের বেশী সময় ধরে ওয়ালিয়া – লালপুর সড়কটির এই বেহল দশা থাকলেও রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের জন্য কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে রাস্তাজুড়ে সৃষ্ট অসংখ্য ছোট-বড় গর্তগুলোতে পানি জমে কাঁদায় লুটোপুটি খাচ্ছে এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। চলাচলের বিকল্প কোন পথ না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে খানাখন্দ ও কাঁদা-পানি মাড়িয়ে এই সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকরতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে পথচারীরা, মাঝে মধ্যেই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়তে দেখা যায় যানবাহনগুলো। এই সড়কটি দিয়েই জেলা সদর নাটোর, লালপুরের একমাত্র শিল্পকারখানা নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস, লালপুর উপজেলা পরিষদ, লালপুর থানা, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লালপুর ফায়ার সার্ভিস, গোপালপুর পৌরসভা, লালপুর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও লালপুর স্টেডিয়ামে যাতায়াত করতে হয়। সরকারি-বেসরকারি, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। দীর্ঘ ১০ বছরের বেশী সময় ধরে সড়কটি এই বেহাল দশা। তবে মাঝে-মাঝে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাড়ি এসে কিছু কিছু ভাঙা স্থানে ইট-বালি ও খোয়া দিয়ে যায়। তাতে দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। অটোচালক দীপক, সুলতান সহ অনেকে বলেন, রাস্তটি সংস্কার হবে বলে দীর্ঘদিন পার হলেও সংস্কার না করায় সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ। শুখানোর সময় ধুলায় গা ভরে যায় আর বৃষ্টি হলেই কাঁদাপানিতে একাকার। নতুন পুরাতন নেই এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলালেই নষ্ট হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় এজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।