নাটোরকন্ঠ সিংড়া : নচিকেতার গানের মতই সমাজের বাস্তবতায় কারো বাবা কিংবা কারো মা নিজ গৃহে এখন পরবাসী। সন্তান লালন পালন এবং তাকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলে বাবা,মা। সংসারের শত কষ্ট বুকে নিয়ে সন্তানের সকল চাহিদা পুরন করে। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় আমরা জন্মদাতা বাবা, মাকে ভূলে যাই। যার কারনে একসময় তারা হয়ে যায় বোঝা।
যে সময়ে সন্তানের কাছে একটু মাথা গোজার ঠাঁয় খুঁজতে চায় সে সময় অবাধ্য, অকর্ম, অবিচারকের মত দুরে ঠেলে দেয় তাদের। অথচ এ বৃদ্ধা বয়সে প্রতিটা বাবা, মা চায় সন্তানের সার্ণিধ্য। অহরহ সমাজের কুলংগার সন্তানরা রাস্তায় ফেলে দেয় কিংবা বৃদ্ধাশ্রম পাঠায় অথচ বাবা, মায়ের সেবার মাধ্যমে একজন সন্তান সহজে জান্নাত পেতে পারে।
সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পার সাঐল গ্রামের মৃত আফের আলীর স্ত্রী জমেনা বেওয়া। স্বামী মারা যাবার পর ছোট ছেলের তত্ববধানে ভালোই চলছিলো। কিন্তু চাকুরির প্রয়োজনে ছোট ছেলে টি অন্যত্র চলে গেলে জমেনার জীবনে নেমে আছে অমানিশা। তাঁকে বড় দুটি ছেলে সুকৌশলে ৫০ শতক জমি লিখে নেয়। তারপর মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রায় দেড়মাস ধরে সিংড়া পৌর এলাকার হাতিগাড়া মহল্লায় মেয়ে মনোয়ারার বাড়িতে অবস্থান করছে জমেনা।
কথা হয় জমেনার সাথে। বয়স অনেক হয়েছে প্রায় ৭৫ বছর। জমেনা জানান তাঁকে ভুলভাল বুজিয়ে সিংড়া সাব রেজিস্টার অফিসে নিয়ে গিয়ে ৫০ শতক জমি লিখে নেয় তাঁরই দু ছেলে ইউসুফ ও ইদ্রীস আলী। এখন সে নি:স্ব, অসহায়। মেয়েরা ছাড়া দেখার কেউ নাই। যেখানে স্বামীর স্মৃতি, সংসারের স্মৃতি সেই ভিটে মাটিতে ফিরতে চায় জমেনা বেওয়া।